Current Bangladesh Time
রবিবার মে ৫, ২০২৪ ৪:৩৪ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » পটুয়াখালীর চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করলো সেই শিক্ষার্থী 
Sunday June 27, 2021 , 6:34 pm
Print this E-mail this

ওই মেয়ে তাকে স্বামী হিসেবে মেনে না নেয়ায় এমন সিদ্ধান্ত-ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার

পটুয়াখালীর চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করলো সেই শিক্ষার্থী


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমঘটিত সালিশ বৈঠকে মেয়েকে দেখে পছন্দ হওয়ার পর তাৎক্ষণিক বিয়ে করা সেই চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি ফিরে গেছে কিশোরী। শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় তাদের তালাক সম্পন্ন হয় বলে মেয়ের বাবা নিশ্চিত করেছেন।এর আগে, গত শুক্রবার (২৫ জুন) দুপুরে কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেছিলেন। কিশোরীর বাবা জানান, তার মেয়ে এখন তাদের বাড়িতেই আছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই ইউনিয়নে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই কিশোরীর। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে তারা দুজন পালিয়ে যায়। বিষয়টি কিশোরীর বাবা কনকদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান। এরপর চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেয়ার কথা বলে শুক্রবার কনকদিয়া ইউপি কার্যালয়ে ছেলে ও মেয়ের দুই পরিবারকে যেতে বলেন। সেই অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যরা ইউপি কার্যালয়ে যান। সেখানে মেয়েটিকে দেখে পছন্দ হয়ে যায় চেয়ারম্যানের। তিনি মেয়েটিকে বিয়ে করার আগ্রহ দেখান। শুক্রবার দুপর ১টায় স্থানীয় কাজি মো. আবু সাদেককে বাড়িতে ডেকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। বিয়ের পর তা জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। শনিবার ওই একই কাজীর মাধ্যমেই তালাক সম্পন্ন হয়। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার জানান, ওই মেয়ে তাকে স্বামী হিসেবে মেনে না নেয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বর্তমানে মেয়েটিকে তার বাবার সঙ্গে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

বাউফলে চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করলো সেই শিক্ষার্থী

পটুয়াখালীর বাউফলে অষ্টম শ্রেণীর সেই শিক্ষার্থী নাজনিন আক্তার (১৪) বিয়ের একদিন পরই চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে প্রেমিক রমজানকে বিয়ে করেছেন। রোববার সকালে প্রেমিক রমজানের মামা বাড়িতে বসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারকে (৬০) তালাক দেয় নাজনিন। বর্তমানে কুম্ভখালী গ্রামের মামা শশুর পলাশ হাওলাদারের বাড়িতেই আছেন নাজনিন। এদিকে চেয়ারম্যানকে তালাক দেয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বিচারপ্রার্থী কিশোরীকে বিয়ে করে চেয়ারম্যান বিপাকে পড়েছেন। অবশ্য কিশোরী নাজনিন বলেছেন, রোববার ভোরে তার প্রেমিক রমজানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। এখন তিনি শৃংখলমুক্ত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, মে মাসে কনকদিয়া ইউনিয়নের চুনারপুল এলাকার নজরুল ইসলাম হাওলাদারের মেয়ে নাজনিনের সঙ্গে নাজিরপুর ইউনিয়নের তাঁতেরকাঠি গ্রামের গার্মেন্টকর্মী সোহেলের বিয়ে হয়।ওই বিয়েতে সম্মতি ছিল না নাজনিনের।তাছাড়া নাজনিনের সঙ্গে তার গৃহশিক্ষক রমজানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন সোহেল,নাজনিন ও রমজানের পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। শুক্রবার কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে মীমাংসার জন্য যান উভয় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে সোহেল ও নাজনিনের বিয়ে বিচ্ছেদ করেন চেয়ারম্যান। শালিস বৈঠকে বসে নাজনিন রমজানের সঙ্গে সংসার করতে চায়। এ সময় চেয়ারম্যান নাজনিনকে দেখে পছন্দ করেন। তিনি নাজনিনের বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এছাড়াও রমজান গরীব, তোমাকে খাওয়াবে কি, আমাকে বিয়ে করলে ভবিষ্যত ভাল হবে এসব কথা বলে নাজনিনকে নানা প্রলোভন দেখান চেয়ারম্যান। নাজনিনের সম্মতি নিয়ে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর কাজী ডেকে চেয়ারম্যান এলাকার লোকজনদের নিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। চেয়ারম্যানের দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে বিয়ে করেছেন। চেয়ারম্যানের বিয়ের পর এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। চেয়ারম্যানের একটি ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, বিয়ের পর সামাজিক ও পারিবারিকসহ নানা চাপে চেয়ারম্যান বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।তারপরই তিনি বিয়ে ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।একদিন পরেই গত শনিবার সন্ধায় কাজী ডেকে নাজনিনের কাছ থেকে তালাকনামা রাখেন তিনি। অবশ্য চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার বলেন, মেয়েটি তার প্রেমিকের কাছে ফিরে যেতে চায়। সে সুখে থাকতে চায়। আমি জোড় করে কারও সঙ্গে সংসার করতে চাই না। বিয়ের পর আমার ঘরেই ছিল নাজনিন। তাকে একবারের জন্যও স্পর্শ করিনি। নাজনিন বলেন, আমার সিদ্ধান্তেই চেয়ারম্যানকে বিয়ে করেছি। আবার আমিই তাকে তালাক দিয়েছি। রবিবার পছন্দের লোক রমজানের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। আমার জন্য রমজান আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। সে হাসপাতাল থেকে ফিরে এসেছে। আমি এখন তাকে নিয়েই সংসার করতে চাই। আপনারা দোয়া করবেন। কিশোরীকে বিয়ে করার অপরাধে চেয়ারম্যানের কোন শাস্তি হবে কি না। এমন প্রশ্নে বাউফলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে, যদি বাল্য বিয়ের ঘটনা হয় তাহলে চেয়ারম্যানকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

সালিশে কিশোরীকে বিয়ে করা সেই চেয়ারম্যান বরখাস্ত

ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে বিয়ে করা পটুয়াখালীর কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শাহিন হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (২৮ জুন) রাতে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ৬ নম্বর কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শাহিন হাওলাদার সালিশ করতে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৪ বছর ২ মাস ১৪ দিন) কিশোরীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় তিনি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯’র ৩৪ (৪) (ঘ) ধারার অপরাধ সংঘটিত করায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া কেন তাকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তার জবাব সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৫ জুন) ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার।




Archives
Image
দেশের দুই অঞ্চলে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
Image
৫ লাখ লিফলেট বিলি করছে বিএনপি, কী আছে এতে?
Image
মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী ডিবিতে
Image
ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
Image
আগুনের পরিধি দুই কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে, তদন্ত কমিটি গঠন