Current Bangladesh Time
বুধবার সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫ ৬:২১ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » পটুয়াখালীর সরকারি হাত ধোঁয়ার বেসিন এখন ডাস্টবিন! 
Tuesday March 2, 2021 , 3:32 pm
Print this E-mail this

শহরের অধিকাংশ বেসিন অকেজ, দ্রুত এসব বেসিন সংস্কার করে সচল করা হবে

পটুয়াখালীর সরকারি হাত ধোঁয়ার বেসিন এখন ডাস্টবিন!


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পটুয়াখালী জেলা শহরে (কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাস শুরুর দিকে জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সরকার ওয়াস ব্লক (বেসিন) নির্মাণ করেন। পটুয়াখালী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সামনে ১ টি, পুরান বাজার মসজিদ গেটে ১ টি, বাস স্ট্যান্ডের প্রবেশ পথে ১ টি, শহরের নিউ মার্কেট গোলচত্বরের পাশে ১ টি, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ১ টি, পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে ১টি, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের সামনে ১ টি, লঞ্চ ঘাটের প্রবেশ পথের পাশে ১ টি, বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের প্রবেশ পথের পাশে ১ টি ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রবেশ পথের পাশে ১ টি ওয়াস ব্লক (বেসিন) নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলার সকল উপজেলায় উপজেলা চত্বরে ১ টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কম্পাউন্ডে ১ টি ও গুরুত্বপূর্ণ বাজারে ১ টি করে মোট ৩৪ টি ওয়াস ব্লক (বেসিন) নির্মাণ করা হয়েছে। পটুয়াখালী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়েজ আহমেদ জানিয়েছেন, করোনাকালীন সময়ে জেলায় ৩৪ টি হ্যান্ড ওয়াস বেসিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সভা করে জেলা শহরে ১০ টি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সভা করে উপজেলা পর্যায়ে ৩ টি করে হ্যান্ড ওয়াস বেসিন স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি বেসিন নির্মাণে ২৭ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। ৩৪ টি বেসিনে প্রায় ৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ ওয়াস ব্লকে (বেসিন) কল নেই, কল থাকলেও পানির সংযোগ নেই। কোনোটির সাবানের বক্স নেই, সাবানের বক্স থাকলেও সেখানে সাবান নেই। পটুয়াখালী পৌর শহরের ১০ টি বেসিনের মধ্যে অধিকাংশ অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এছাড়াও সদর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরেও কোনো বেসিন খুঁজে পাওয়া যায়নি। পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের বেসিনে কয়েকদিন হাত ধোঁয়ার জন্য সাবান ও হ্যান্ডসেনিটাইজার থাকলেও কিছু দিন পর তা আর দেখা যায়নি। যার ফলে সাধারণ মানুষ এখন হাত ধোঁয়ার বেসিনে ময়লা আবর্জনা ফেলছে। এদিকে পটুয়াখালীর লঞ্চ ঘাটে বেসিন আছে কিন্তু পানি ও সাবান নাই। পটুয়াখালী বাসস্টান্ড এলাকায় করোনা শুরুর দিকে বেসিন তৈরি হয়। এক মাস যেতে না যেতে যেখান থেকে পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।এরপর থেকে সেখানে প্লাস্টিকের কলও দেখা যায়নি। ফলে বেসিন এখন ময়লার ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। লোকজন বেসিনে হাত ধোঁয়ার পরিবর্তে বেসিনে ময়লা ফেলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী জানান, পটুয়াখালী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে যে ওয়াস ব্লক নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে সঠিক ভাবে উন্নতমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হতো তাহলে সেটা দীর্ঘস্থায়ী হতো।দৃশ্যমান প্রতিটি ওয়াস ব্লকে সর্বোচ্চ যদি ব্যয় হয় তবে ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। মানসম্মত ফিটিংস ও মালামাল ব্যবহার করে ওয়াস ব্লক (বেসিন) নির্মিত হলে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হতো। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়, পটুয়াখালী শহরের অধিকাংশ বেসিন রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে অকেজ হয়ে পরেছে। অতি দ্রুত এসব বেসিন সংস্কার করে সচল করা হবে বলে জানিয়েছেন।




Archives
Image
পুলিশের বিছানায় বসে ভাত খাচ্ছেন আসামি ‍যুবলীগ নেতা
Image
পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠালো সরকার
Image
আল্টিমেটামে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ইতিবাচক পরিবর্তন, সন্তুষ্ট আন্দোলনকারীরা
Image
আসন্ন দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেল ৩৭ প্রতিষ্ঠান
Image
বরিশালে পুলিশের অভিযান, ১১ কেজি গাঁজাসহ আটক ২