|
ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারনের প্রশ্ন, সরকার কি শুধু বড় নেতাদের, অসহায় গরীব মানুষের জন্য নয়!
“চোর শোনে না ধর্মের কাহিনী” বানারীপাড়ায় বন্ধ হয়নি বালু উত্তলোন
বানারীপাড়া উপজেলার আট ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাকে দ্বিখণ্ডিত করে বয়ে চলেছে সন্ধ্যা নদী। এ নদীর খরস্রতে নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে বসত ভিটা, জায়গাজমি, ব্যবসা বানিজ্য হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে শত শত পরিবার নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে অনেক স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির। জনসাধারনের কথা ভেবে মহামান্য হাই কোর্ট একটি রিট পিটিশনের কারণে গত অর্থ বছরে এ নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ইজারা দেওয়া না হলেও গত বছরেও বালু উত্তোলনের মহোৎসব ছিল। কোন অজ্ঞাত কারনে প্রশাসন ও নিরব ভুমিকা পালন করে। গত বছরেও মিডিয়া অনেক লেখালেখির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর চেষ্টা করেও বালু উত্তোলন বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়। এ বছরও সেই আগের মত ইজারা ছাড়াই অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যস্ত অসৎ ব্যক্তিগন। বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, মিরের হাট, জিরাকাঠী, কালির বাজার, খেজুর বাড়ী স্থান থেকে। বালু উত্তোলনের করনে এসব স্থানেই ভাঙ্গন কবলিত হচ্ছে বেশী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভূক্তভুগি বলেন, আমরা এ ব্যপারে কিছু বলতে গেলে আমাদের হুমকি দেয়, মামলা দিয়ে শ্রীঘরে পাঠাবে। সে জানান, ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী নেতার নির্দেশেই নাকি এ অবৈধ বালু উত্তোলনের জমজমাট ব্যবসা পরিচালিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারনের প্রশ্ন, সরকার কি শুধু বড় নেতাদের, অসহায় গরীব মানুষের জন্য নয়! যদি সেটাই হয়, তবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, হে আল্লাহ তুমি আমাদের হেফাজত কর।

মোঃ আনিছুর রহমান মিলন, বানারীপাড়া প্রতিনিধি
Post Views: ০
|
|