প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকে আইনি সহায়তা দিতে আগ্রহী ওসি মোয়াজ্জেমের আইনজীবী
Thursday July 18, 2019 , 8:53 pm
রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকে আইনি সহায়তা দিতে আগ্রহী ওসি মোয়াজ্জেমের আইনজীবী
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরগুনায় চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে মিন্নিকে বরগুনার আদালতে হাজির করে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিন মঞ্জুর করেন। ওই সময় মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে দাঁড়াননি। এ কারণে সরাসরি তার সঙ্গে কথা বলেন আদালত। এ খবর শুনে মিন্নির পক্ষে মামলা পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ফেনীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যায় গ্রেপ্তার সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের আইনজীবী ফারুক আহমেদ। এ বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ফারুক অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস মিন্নিকে আইনি সহায়তা দিতে রাজি আছে। সেজন্য আমাদের একজন আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল আজকে মিন্নির বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি আইনি সহায়তা নিতে সহমত প্রকাশ করেছেন। সে অনুযায়ী ফারুক অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস আগামী মঙ্গলবার মিন্নিকে রিমান্ড থেকে আদালতে ফেরার দিন বরগুনার আদালতে গিয়ে তাদের আইনি সহায়তা দেবে।’ এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘মামলার চার্জশিট হওয়ার পর মিন্নিকে যদি অভিযুক্ত করা হয়, তাহলে তার মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আনার চেষ্টা করা হবে, যাতে অবৈধ প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলে।’ উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয় রিফাত শরীফকে। তাঁর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত মিন্নিসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২ জুলাই ভোরে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এখন পর্যন্ত ১০ আসামি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।