Current Bangladesh Time
শুক্রবার মে ৩, ২০২৪ ১:৪০ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » হাসপাতালে ইভ্যালির এমডি রাসেল 
Saturday September 18, 2021 , 12:20 pm
Print this E-mail this

অনেক দিন ধরেই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ছিল

হাসপাতালে ইভ্যালির এমডি রাসেল


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতার ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রথমে তাকে পুলিশের একটি গাড়িতে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে পরে তাকে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সরকারী ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল্লাহ খান বিষয়টি জানিয়েছেন। এদিকে শুক্রবার রাতে রাসেলকে হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওহিদুল নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রাসেল অসুস্থ বোধ করছেন বলে আমাদের জানান। পরে তাকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে থানা পুলিশের একটি গাড়ি দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন এবং ভালো আছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। এর আগে শুক্রবার বিকেলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে হাজির করা হয়। এরপর গুলশান থানায় প্রতারণার অভিযোগে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশার থানার উপ-পরিদর্শক ওয়াহিদুল ইসলাম। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিটন তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালি এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযান শেষে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে এ দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর র‌্যাবের সাদা গাড়িতে করে তাদের নেওয়া হয় র‌্যাব সদর দপ্তরে, সেখানেই চলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ। গত বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক প্রতিষ্ঠানটির এমডি ও সিইও রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে অভিযোগকারী আরিফ বাকের ও তার বন্ধুরা চলতি বছরের মে ও জুন মাসে কিছু পণ্য অর্ডার করেন। পণ্যের অর্ডার বাবদ বিকাশ, নগদ ও সিটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে পুরোপুরি অর্থ পরিশোধ করা হয়। পণ্যগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ডেলিভারি ও নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সরবরাহে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠান সমপরিমাণ টাকা ফেরত দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে পণ্যগুলো ডেলিভারি না পাওয়ায় বহুবার ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিকে ফোন করা হয়। সবশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর যোগাযোগের মাধ্যমে অর্ডার করা পণ্যগুলো পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তারা। এতে আরও বলা হয়, একপর‌্যায়ে ইভ্যালি পণ্য প্রদান ও টাকা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ার পর ৯ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যান। এসময় এমডি রাসেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। একপর‌্যায়ে অফিসের ভেতরে অবস্থান করা রাসেল উত্তেজিত হয়ে তার রুম থেকে বেরিয়ে এসে তাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন এবং পণ্য অথবা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ভয়-ভীতি ও হুমকিসহ তাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করা হয়। এতে তারা চরম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিনযাপন করছেন এবং পণ্য বুঝে না পাওয়ায় আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মামলার এজাহারে রাসেল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় অপরাধের কথা বলা হয়েছে। ফৌজদারি দণ্ডবিধির ধারাগুলো হচ্ছে-৪২০, ৫০৬ ও ৪০৬। অনেক দিন ধরেই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ছিল। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে এক সভায় ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ ১০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত কমিটি। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এর আগে গত ২৫ আগস্ট এক চিঠিতে আগস্ট ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও চেয়ারম্যানের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব চেয়েছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে তাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছিল। তারও আগে গত বছরের আগস্টে বিএফআইইউ নাসরিন ও রাসেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছিল।

বেতন নিতেন ১০ লাখ, চালাতেন বিলাসি গাড়ি

প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিন। ইভ্যালির অ্যাকাউন্টে বর্তমানে আছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠার পর এত অল্প সময়ে এই বিপুল টাকা কোথায় গেল, তার হদিস এখনো মেলেনি। গ্রাহকদের কষ্টার্জিত এই অর্থ কিভাবে ফেরত দেবেন, সে ব্যাপারে রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল র‌্যাব। তবে কোনো ‘সদুত্তর’ পাওয়া যায়নি। আবার এই বিপুল অর্থের দায় মেটাতে ব্যর্থ হলে রাসেল ‘কম্পানি দেউলিয়া ঘোষণার’ পরিকল্পনাও করছিলেন। এ অবস্থায় গুলশান থানায় এক গ্রাহকের করা মামলায় গ্রেপ্তার রাসেল-শামীমা দম্পতিকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মহানগর আতিকুল ইসলামের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত রাতে রাসেল অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে রাসেলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, গতকাল সকালে সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একটি প্রতিবেদনে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির দেনা ৪০৩ কোটি টাকা বলা হলেও ইভ্যালির সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, গ্রাহকদের কাছে তাঁদের মোট দায় এক হাজার কোটি টাকার বেশি। গ্রাহকদের এই দায় মেটাতে ব্যর্থ হলে রাসেল ‘কম্পানি দেউলিয়া ঘোষণার’ পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই সঙ্গে বিপুলসংখ্যক গ্রাহক তৈরি করে ইভ্যালির ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’ বাড়ানোর পরিকল্পনাও ছিল তাঁর। ব্র্যান্ড ভ্যালু কাজে লাগিয়ে তিনি কোনো বিদেশি কম্পানির কাছে দায়সহ ব্যবসা বেচে দেওয়ার কথাও ভাবছিলেন। আবার তিন বছর পূর্ণ হলে শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত হয়ে দায় চাপানোরও পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সেই সঙ্গে ইভ্যালিকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর রাসেল কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বা দেশি বড় প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়সহ বিক্রি করে দেওয়ার একটি পরিকল্পনা করেছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি দায় মেটানোর অজুহাতে সময় নিয়েছেন, যা তাঁর একটি অপকৌশল মাত্র। র‌্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, নিজের কোনো পুঁজি না থাকলেও রাসেল পরিকল্পিতভাবে এই ব্যবসা করে আসছিলেন। ব্যবসাটি একটি পরিবার নিয়ন্ত্রিত হলেও শুরু থেকেই তাঁরা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্রে কোনো স্বচ্ছতা ছিল না। এ ছাড়া ছিল না কোনো জবাবদিহি। ফলে ক্রমান্বয়ে প্রতিষ্ঠানটির দায় বেড়ে বর্তমানে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সরবরাহকারী কম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে হাজার কোটি টাকার দায়ে পড়েছে ইভ্যালি। এত অল্প সময়ে এই বিপুল টাকা কোথায় গেল, তার হদিস মেলানো যাচ্ছে না। আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত জুলাই মাসে দুদকের আবেদনে ইভ্যালির শীর্ষ কর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। তাঁদের নেতিবাচক ব্যাবসায়িক ‘স্ট্র্যাটিজি’ উন্মোচিত হওয়ায় অনেক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি থেকে সরে যায়। দায় মেটাতে বিভিন্ন অজুহাতে সময় বাড়ানোর আবেদন রাসেলের একটি অপকৌশল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরো বলেন, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির সম্পদ ছিল ৬৫ কোটি টাকা। অথচ নানা পণ্য বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া হয়েছে ২১৪ কোটি টাকা। গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া বিপুল অর্থের হদিস মিলছে না। এ পর্যন্ত গ্রাহক ও অন্যান্য কম্পানির কাছে প্রতিষ্ঠানটির বকেয়া আছে ১৯০ কোটি টাকা। তবে ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা হলেও ইভ্যালির অ্যাকাউন্টে বর্তমানে আছে ৩০ লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ২৫ থেকে ৩০টি যানবাহন রয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়ে সাভারে রাসেলের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জায়গা-জমিসহ অন্যান্য সম্পদ রয়েছে। আর কয়েকটি গেটওয়েতে ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা আটক হয়েছে আছে বলে জানিয়েছেন রাসেল। র‌্যাবের ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, কম্পানির শুরুর দিকে প্রায় দুই হাজার স্টাফ ও অস্থায়ী ভিত্তিতে এক হাজার ৭০০ কর্মচারী কর্মরত ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানে। এখন তা কমে এক হাজার ৩০০ স্টাফ এবং ৫০০ অস্থায়ী কর্মচারীতে নেমে এসেছে। বেতন বাবদ ইভ্যালির খরচ আগে পাঁচ কোটি টাকা হলেও এখন তা দেড় কোটিতে নেমে আসে। গত জুন থেকে অনেকের বেতন বকেয়া আছে। অনেকের সঙ্গে রাসেলের যোগাযোগ থাকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা রাসেলের মার্কেটিং পলিসি ছিল। দক্ষিণ এশিয়ায় ইভ্যালিকে সবাই এক নামে চিনবে—এমনটা রাসেল চেয়েছিলেন। তিনি মার্কেট ভ্যালু তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সিএসআরের মাধ্যমে তিনি স্পন্সর করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় প্রচার-প্রচারণা করেছেন। এই প্রচার-প্রচারণা সম্পূর্ণটাই সাধারণ জনগণের লগ্নি করা অর্থ দিয়ে করেছেন, লভ্যাংশ থেকে করেননি।

মাসে ১০ লাখ টাকা নিতেন রাসেল দম্পতি : ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল পদাধিকারবলে মাসিক পাঁচ লাখ টাকা করে বেতন নিতেন। গত জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত অনেক কর্মচারীকে বেতন দিতে না পারলেও পদাধিকার বলে প্রতি মাসে তিনি ও তাঁর স্ত্রী ইভ্যালি থেকে ১০ লাখ টাকা বেতন নিতেন। এ ছাড়া কম্পানির অর্থে ব্যক্তিগত দুটি দামি গাড়ি ব্যবহার করেতেন এই দম্পতি।

তিন দিনের রিমান্ড : সংবাদ সম্মেলন শেষে রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে গুলশান থানায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে দুপুর ২টায় তাঁদের আদালতে নিয়ে আসা হয়। বিকেল ৩টায় তাঁদের আদালতে তোলা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁদের ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওহিদুল ইসলাম। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের সামনে বিক্ষোভ : শুনানি শেষে রাসেল ও তাঁর স্ত্রীকে আদালত থেকে নিচে নামানোর পর ইভ্যালিতে অর্ডার দেওয়া ২০ থেকে ২৫ জন যুবক তাঁদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় সেখান থেকে আসাদ নামের একজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

যেভাবে ইভ্যালিতে রাসেল : রাসেল একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে ২০০৯ সালে রাজধানীর একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা শুরু করেন। দুই বছর এই শিক্ষকতা করার পর ২০১১ সালে একটি ব্যাংকে চাকরি নেন। ছয় বছর সেখানে চাকরি করার পর ২০১৭ সালে নিজেই ব্যবসায় নামেন। এর মধ্যে ২০১৩ সালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেন। ২০১৭ সালে চাকরি ছেড়ে ডায়াপারের ব্যবসা শুরু করেন। আর ২০১৮ সালে চালু করেন ইভ্যালি। এর পর থেকে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যান রাসেল। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে রাসেল ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁদের র‌্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার গুলশান পুলিশের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করে র‌্যাব।




Archives
Image
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে হতে হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
Image
মিল্টন সমাদ্দারের নামে তিন মামলায় যেসব অভিযোগ
Image
নগদ ঘুষ ছাড়া নড়েন না বরিশাল পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা!
Image
বরিশালে সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের উপর হামলার অভিযোগ, ইউপি সদস্য গ্রেফতার
Image
অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ড. ইউনূস’র জামিন