Current Bangladesh Time
রবিবার অক্টোবর ৫, ২০২৫ ১০:৪২ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ৩ সন্তানের জননী লাইজু 
Friday May 24, 2019 , 12:28 pm
Print this E-mail this

স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ৩ সন্তানের জননী লাইজু


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : স্বামী সুজন হাওলাদার শ্বাশুরী জাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করে তাদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে স্ত্রী তিন সস্তানের জননী লাইজু বেগম। স্ত্রীকে আশ্রয় দেয়ার অপরাধে ধর্ষণ মামলার আসামী করা হয়েছে ভায়েরা জাফর গাজীকে। এ অভিযোগ করেছেন স্ত্রী লাইজু বেগম। মামলাসূত্রে জানাগেছে, বিগত ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে পারিবারিক পছন্দে চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালী গ্রামের নসু গাজী এর কন্যা লাইজুর সাথে একই ইউনিয়নের লোদা গ্রামের মৃত্যু মোসলেম আলী হাওলাদারের পুত্র সুজন হাওলাদারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের সুখ-স্বান্তির কথা ভেবে প্রায় তিন লক্ষ টাকার উপহার সামগ্রী দিয়ে মেয়েকে তুলে দেন লাইজুর বাবা। সুখ-স্বান্তিতে ভালই চলছিল তাদের সংসার। একে একে তাদের সংসারে সুজনের ঔরষে মীম (৯), তামিম (৫), তানবির (৪) নামে তিনটি সন্তান জন্ম নেয়। এরপর হঠাৎ করে বিভিন্ন সময় ব্যবসা করার কথা বলে স্ত্রী লাইজুকে বাবার বাড়ী থেকে এক লক্ষ টাকা এনে দিতে বলে সুজন। লাইজু এতে রাজি না হলে প্রায়ই তাকে গালমন্দ ও শারিরীক নির্যাতন করতো। এরপর থেকে সময় অসময়ে স্বামী সুজন, শ্বাশুরী জাহানারা বেগম, ননদ জোসনা ও তার স্বামী আব্বাস বিভিন্ন অজুহাতে ও ছোট খাটো ভূলত্রুটির কারনে অহেতুক গালাগাল, মারধরসহ শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। গত ১৪ মার্চ দুপুরে পুনঃরায় বাবার বাড়ী থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুন এনে দিতে বলে স্বামী সুজন। এতে স্ত্রী লাইজু রাজি না হলে তাকে লাঠি দিয়ে বেদম পিঠিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে মারাত্মক ফুলা জখম করে। এতে অজ্ঞান হয়ে বাড়ীতে পড়ে থাকে লাইজু। স্বামী সুজন তাকে কোন প্রকার চিকিৎসা না করিয়ে বাড়ীতে ফেলে রাখে। এ ঘটনা বাড়ীর পার্শ্ববর্তী লোকজন লাইজুর বাপের বাড়ীতে জানায়। তারা এসে মেয়েকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। হাসপাতালে সপ্তাহ খানের চিকিৎসার পর লাইজু সুস্থ্য হয়। হাসপাতাল থেকে লাইজু স্বামীর বাড়ীতে গেলে তাকে ঘরে তুলতে অপরাগতা প্রকাশ করে স্বামী সুজন। তখন স্বামী-শ্বাশুরীর পায়ে ধরে ঘরে উঠলেও খাওয়া বন্ধ করে দেয় তারা। প্রায় দিনই না খেয়ে থাকতে হয় লাইজু ও তার তিন সন্তানদের। অসহায় হয়ে পড়ে তিন সন্তান নিয়ে। তখন লাইজু আমতলী থানায় মামলা করতে গেলেও থানা মামলা না নিয়ে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেয়। এরপর লিগ্যাল এইডের সহায়তায় গত ৭ এপ্রিল লাইজু বাদী হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে স্বামী সুজন হাওলাদার শ্বাশুরী জাহানারা বেগম ননদ জোসনাসহ ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক আমতলী থানাকে বাদীর মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভূক্ত করার জন্য নির্দেশ দেয়। মামলার খবর শুনে সুজন আত্মগোপনে চলে যায়। তখন তিনটি সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপবাস ও সন্তানদের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে পার্শ্ববর্তী পৌরসভার মাদানীনগর এলাকায় বড় বোন তাছলিমার বাসায় আশ্রয় নেয়। এখনো সেখানেই আছে লাইজু তার তিন সন্তান নিয়ে। এর কিছুদিন পরে লাইজু জানতে পারে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সুজন তানজিলা নামের একটি মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। অপরদিকে ভায়েরা জাফর গাজী তার স্ত্রীকে সন্তানদের আশ্রয় দিয়ে ও তার পরামর্শে স্ত্রী লাইজুকে বাদী বানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে। মামলা ও প্রথম স্ত্রী সন্তানদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে ২য় স্ত্রী তানজিলাকে ভিকটিম বানিয়ে গত ২৪ এপ্রিল রাতে কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের মৌলভীর তবক গ্রামে একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলার ঘটনা সাজিয়ে ভায়েরা জাফর গাজীকে আসামী করে ৪ জনের নামে কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ভায়েরা জাফর গাজী ৩নং আসামী। মামলা নং ৩২/তারিখ-২৫/৪/২০১৯ইং। স্ত্রী লাইজু বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, যৌতুকের জন্য আমার স্বামী সুজন হাওলাদার ও তার মা বোন মিলে আমাকে প্রায়ই শারিরীক নির্যাতন করে আসছে। আমি স্বামী সুজনের বিরুদ্ধে মামলা করায় ও আমার বোন আমাকে সন্তানসহ আশ্রয় দেয়ায় ভগ্নিপতি জাফর গাজীর নামে একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। আমাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। লাইজুর ভগ্নিপতি জাফর গাজী জানান, শুনেছি সুজন ২য় বিয়ে করেছে। আমার শালিকা লাইজুকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে। লাইজু ও ওর তিনটি অবুঝ শিশুকে খেতে দেয় না। প্রায় দিন না খেয়ে থাকে ওরা। তাই আমার স্ত্রী তাছলিমা তার ছোট বোন লাইজুকে তিনটি সন্তানসহ আমার আমার বাসায় আশ্রয় দিয়েছে। এ অপরাধে আমার ছোট ভায়েরা সুজন হাওলাদার ওর ২য় স্ত্রীকে বাদী বানিয়ে আমাকে আসামী করে কলাপাড়া থানায় একটি ধর্ষন মামলা করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমতলী থানার এসআই মোঃ ফারুক মৃধা জানান, মামলার তদন্ত চলছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। স্বামী সুজন হাওলাদারের মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি তা ধরেননি। আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, কোর্টের নির্দেশে মামলাটি এজাহার হিসেবে।




Archives
Image
রাজধানীর ধানমন্ডি লেক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
Image
মারা গেছেন সাবেক সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ
Image
তোফায়েল আহমেদের অবস্থা সংকটাপন্ন
Image
অক্টোবরে আসছে বাম দলগুলোর নতুন জোট
Image
বরিশালে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল