|
এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি, এগুলো আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত-পুলিশ কনস্টেবল মনির হোসেন
স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত স্ত্রী, বাবার বিচার চেয়ে কাঁদলেন শিশু কন্যা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ঝালকাঠির সদর উপজেলার কৃষ্ণকাঠি এলাকার বাসিন্দা মারিয়া বেগম বরিশাল জেলা পুলিশের কনস্টেবল মনির হোসেনর সাথে বিয়ে হলে তাদের পরিবারে একটি ফুট ফুটে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। তারপরও এই ছোট্ট পরিবারে শুরু হয় অশান্তি। স্ত্রী মারিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী পুলিশ কনস্টেবল মনির হোসেন তার কাছে যৌতুক দাবি করে আসছে। আমার পরিবার যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমাকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। কোনো উপায় না পেয়ে মারিয়া তার স্বামী পুলিশ কনস্টেবল মনির হোসেনের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি আদালতে যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ কনস্টেবল মনির হোসেন বরিশালে কর্মরত থাকায় আদালত তদন্তের জন্য বরিশাল জেলা পুলিশকে নির্দেশনা প্রদান করে। তদন্ত প্রতিবেদনে নির্যাতনে প্রমাণ পাওয়ায় পুলিশ কনস্টেবল মনির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সুত্র জানায়, গত ১৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি আদালতে দায়েরকৃত যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলার তারিখ থাকায় বরাবরের মতো হাজির হন মারিয়া, মামলার শুনানি শেষে কোট কম্পাউের বাহিরে কমিশনার রোডে মুখে দারানো থাকা অবস্থায় হটাৎ তার স্বামী পুলিশ কনস্টেবল মনির তার স্ত্রী মারিয়ার গলায় ছুরি ধরে, ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মারিয়ার গলায় ছুরির আঘাত লাগে এবং সে মাটিতে পড়ে যায়। মারিয়ার ছোট বোন তাৎক্ষনিক ৯৯৯-এ ফোন দিলে ঘটনা স্থলে পুলিশ ও স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। মামলা ও ছুরিকাগাতের বিষয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত স্ত্রী মারিয়া জানায় আমি যেখানে অভিযোগ দিয়েছি ও তাদের কিভাবে যেনো ম্যানেজ করে ফেলে, এমনকি মাননীয় ডিআইজি স্যার ও বরিশাল এবং ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার স্যারদের কাছে বিচার ও সহযোগীতা চাই এই মুখোশধারী অমানুষের হাত থেকে আমি এবং আমার অবুঝ সন্তান মরিয়ম মুনতাহা নেকি রক্ষা পেতে পারি, সে ব্যাবস্থা নেন। মেয়ে মরিয়ম মুনতাহা কান্না ভরা চোখে বাবার জন্য আকুতি করে বলে, বাবা পঁচা আমার কোনো খোঁজ নেয় না, আমায় একটু আদারও করে না, বাসায় আসলে শুধু আম্মুর সঙ্গে অনেক ঝগড়া মারামারি করে। বাবাকে আমি খুব মিস করি। আমি তাকে অনেক ভালোবাসি। মারিয়া আরও জানায়, শুক্রবার সন্ধায় মেয়ে নিয়ে ঝালকাঠি এসপি স্যারের সাথে দেখা করি সব ঘটনা তাকে খুলে বলি। সে থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। তার পরামর্শ মোতাবেক রাত সাড়ে ৮দিকে গেলে, ওসি সাহেব অফিসে না থাকায় ডিউটি অফিসার বসতে বলে। রাত যখন ১১টা তখন ওসি সাহেব আসলে তার সাথে এ বিষয়ে কথা বল্লে, তিনি শুধু লিখিত নিয়ে আমাদের চলে যেতে বলে। প্রায় আড়াই ঘন্টা বসিয়ে রেখে মামলা না নিয়ে সে বলে অভিযোগ রেখে যান, তদন্ত করে দেখবো। ছুরিকাগাতের বিষয়ে পুলিশ কনস্টেবল মনির হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার তার সাথে এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি, এগুলো আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত।
Post Views:
২৬৬
|
|