মুক্তখবর বিনোদন ডেস্ক : শাহীন শাহ্ এখন নামকরা যাদুশিল্পী। তরুন শাহীন ১৯৯৫ সালে টেলিভিশনের প্রযোজক ফারুক ভুঁইয়ার কক্ষে আমার সাথে দেখা করে সিল্ক ভ্যানিশ করার যাদু দেখায়। তার কথা বলার দক্ষতা দেখে আমি প্রায় নিয়মিত তার যাদু শুভেচ্ছায় দেখাতে থাকি।

এরপর সে জানতে পারে যাদুতে আমার আগ্রহের কথা। আমরা একসাথে বসে নতুন যাদুর পরিকল্পনা করতাম। অনেকগুলো ইন্সট্রুমেন্টের নির্মাণ ও পরিকল্পনা তখন আমরা করেছি।
আলী রাজ ও এস রহমানের সাথেও আমার চমৎকার যাদুবিষয়ক আদান প্রদান ছিল।
শাহীন এর সাথে গত বছর করোনার শুরুতে স্টেজ শো বন্ধ হয়ে যাওয়া সহ নানা বিষয়ে আলাপের সময় তাকে বলেছিলাম কিশোর তরুন শিশুদের জন্য যাদুর একটা বাক্স বানাতে।
ডাক্তারদের নানা রকম কলম পেন্সিল প্যাড দেয় ঔষধ কোম্পানি। আমি বলেছিলাম যাদুর বাক্স দিলে সেটা দিয়ে নবীন প্রজন্ম যাদু শিখবে। শৈশবটা কেবল গেমস আর মোটু পাতলুর না হয়ে, যাদুর মতো মজার কাজের হবে। যাদু দেখালে ফাইন মোটর মুভমেন্ট হয়, যেটা সুক্ষ্ম কাজ করতে শিশুদের সাহায্য করে।
শাহীন রেডিয়েন্ট ফার্মার সহায়তা নিয়ে বাক্সটা বানিয়েছে। এতে তার করোনার সময় যেমন কাজ হয়েছে তেমনি কয়েক হাজার ছেলে মেয়ে যাদু শিখেছে দশটা।
শাহীন আমাকে একটা বাক্স পাঠিয়েছে গতকাল। পেয়ে মনটা অনেক ভালো হয়ে গেলো। আমার ছোট একটা অনুরোধ বা পরামর্শকে সে কি চমৎকার কাজে পরিণত করেছে।
শাহীন শাহ্ এর জন্য ধন্যবাদ পাবে।
দশ হাজার এর ও বেশী শিশুর জীবনে এক অদ্ভুত আনন্দ সে এনে দিয়েছে। রেডিয়েন্ট ও এর জন্য প্রশংসার প্রাপক।
আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ। আমি কিছু প্রত্যাশা করি না। আশা করি। আশা করি এভাবেই আজ থেকে বহুদিন পরে বিখ্যাত কেউ বলবে এরকম একটা বাক্স থেকে তার যাদু শেখার শুরু।
সে জানবেও না কোন শাহীন শাহ্ কোন তুষারের সাথে কথা বলতে বলতে এই যাদুর বাক্সর ধারণা পেয়েছিল।
আগামীর সেই যাদুকরকে অগ্রীম শুভেচ্ছা।