|
৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে চাঁদপুরের মোহনপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চটি আটকে দেয়া হয়
শঙ্কামুক্ত হয়ে যাত্রী নিয়ে সুরভী-৯ লঞ্চটি বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : এবার মাঝ নদীতে আগুন আতঙ্কে বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটের এমভি সুরভী-৯ লঞ্চ আটকে দেয় নৌ-পুলিশ। যাত্রীদের কাছ থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে চাঁদপুরের মোহনপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চটি আটকে দেয়া হয়। এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও সবাই নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চাঁদপুরের মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ওয়াহেদুজ্জামান। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। তারা লঞ্চটির ইঞ্জিন রুমসহ সার্বিক বিষয়ে তল্লাশী এবং খোঁজ খবর নেন। সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে লঞ্চটি ছাড়া হবে না বলেও জানান তিনি। এমভি সুরভী-৯ লঞ্চে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা যুনায়েদ খন্দকার নামের কলেজ ছাত্র জানান, লঞ্চটি ঢাকা সদর ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার ঘন্টা কয়েক পরে চাঁদপুরের মোহনপুর লঞ্চ ঘাটে নোঙর করা হয়। তিনি বলেন, যাত্রীরা নাকি লঞ্চটির ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের ধোয়া বের হতে দেখেছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে কোন একজন যাত্রী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা চান। এর পর পরই পুলিশ চাঁদপুরের মোহনপুর সুরভী-৯ লঞ্চটি আটকে দেয়া হয়। ওই যাত্রী বলেন, প্রথমে একটু হই-হুল্লুর হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ আসার পরে সবাই শান্ত হয়। লঞ্চটি বাইরে থেকে আটকে দেয়া হয়। পুলিশ লঞ্চ স্টাফদের সাথে কথা বলছে। তবে লঞ্চের একজন স্টাফ জানিয়েছেন, কোন আগুন বা ধোয়া হয়নি। লঞ্চটি এক ইঞ্জিনে চলছিল। এ কারণে কোন এক যাত্রী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে অভিযোগ করেছে। এ কারণে শত শত যাত্রী মাঝ রাতে ভোগান্তিতে পড়ে। নৌ-পুলিশের মোহনপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, লঞ্চটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। যাত্রী এবং তাদের মালামালের নিরাপত্তা আমরাই দিচ্ছি। যাত্রীরা জানিয়েছে, লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে তারা আগুন জ্বলতে দেখেছে এবং আগুন থেকে ধোয়ার সৃষ্টি হয়। এজন্য যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, লঞ্চটি মোহনপুর ঘাটে বার্দিং করা হয়। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। তারা লঞ্চের ইঞ্জিনরুম থেকে শুরু করে সব জায়গায় খোঁজ খবর নেন। তাদের নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত লঞ্চ ঘাটেই বার্দিং করা হয় বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় অসংখ্য যাত্রী হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকেই নৌ পথে লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সুরভী-৯ লঞ্চের সুপারভাইজার আব্দুর রব বলেন, লঞ্চের সাইলেন্সার ঠান্ডা রাখার জন্য কাপড় পেঁচিয়ে রাখা হয়, সেটি ভেজা ছিল। সেখান থেকে ধোঁয়া বের হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। যাত্রীরা বিভিন্ন সংস্থায় ফোন দিলে মোহনপুর থেকে কোস্টগার্ড এসে লঞ্চে অবস্থান নেয়। তারা লঞ্চে অবস্থা খতিয়ে দেখেন। পরে লঞ্চের চেয়ারম্যান চাঁদপুরে যাত্রীদের নামিয়ে দিতে বলেন। ফায়ার সার্ভিসের বরিশালের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফায়ার ম্যান মো: জামাল হোসেন বলেন, তাদের কাছে যাত্রীরা সহায়তা চেয়েছেন। কিন্তু লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। আগুন লাগার পর শঙ্কামুক্ত হয়ে যাত্রী নিয়ে এমভি সুরভী-৯ নামের লঞ্চটি বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়েছে।
Post Views:
১২৮
|
|