|
আমাদের ওপর অর্পিত এই পবিত্র দায়িত্ব পালনে অবশ্যই সফল হতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে প্রস্তুত হবে ‘জুলাই সনদ’ : ইউনূস
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ‘দূরত্ব কমিয়ে’ ঐকমত্যে পৌঁছানোর মাধ্যমে জুলাই সনদ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফা আলোচনার উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা। কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজসহ অন্য সদস্যরাও উপস্থিত রয়েছেন। ইউনূস বলেন, “আমরা সবাই আজ এখানে দেশ ও জাতির কল্যাণে একত্রিত হয়েছি। আশা করি, সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছে , দূরত্ব কমিয়ে আমরা একটি অত্যন্ত সুন্দর জুলাই সনদ প্রস্তুত করতে পারবো।” পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর মতামত দিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রথম ধাপে ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক সেরেছে। গণআন্দোলনে ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের অক্টোবরে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনগুলো ২০২৫ সালে ফেব্রুয়ারিতে তাদের সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন সরকারের কাছে পেশ করে। পরে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সংবিধান, নির্বাচন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানদের নিয়ে একটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে সরকার। বিভিন্ন সংস্কার সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে ঐকমত্যে পৌঁছানো ও ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করা এ ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করা এ কমিশনকে ছয় মাস সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রিয়াজ বলেন, “কমিশনের মেয়াদ চলতি বছরের অগাস্টে শেষ হচ্ছে এবং এর আগেই জুলাই মাসে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে কমিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমাদের ওপর অর্পিত এই পবিত্র দায়িত্ব পালনে অবশ্যই সফল হতে হবে।” এ দিনের সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধি দলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস কাজল অংশ নেন। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে অংশ নিয়েছেন নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান এবং হামিদুর রহমান আযাদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধি দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার আলোচনায় অংশ নেন। এছাড়া এলডিপির চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খেলাফত মজলিসের আহমদ আব্দুল কাদের, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর, সিপিবির সাজেদুল হক রুবেল, বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, এবি পার্টির আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এবং নাগরিক ঐক্যের সাকিব আনোয়ারসহ অনান্যরা অংশ নিয়েছেন।
Post Views: ০
|
|