মানুষ ও প্রকৃতি
– কামরুন নাহার মুন্নী
তুমি আছো মুক্ত, স্বাধীন নিজের মতো করে
আমি আছি চার দেয়ালে, বন্দী আপন ঘরে!
উড়ছো পাখি ইচ্ছেমতো, আমার তো নেই ডানা
তোমার জন্য খোলা আকাশ, আমার সবই মানা!
ফুল বাগানের ফুলকলি গো, কত্ত তোমার বাহার
হাত দেয় না বোঁটাতে কেউ, ছিঁড়ছে না কেউ আর।
গাছপালারা দারুণ সুখে, বাতাস গায়ে মেখে
ঘরের কোণে বন্দী মানুষ, অবাক চেয়ে দেখে!
পথগুলো সব নেয় জিরিয়ে, স্বস্তিতে শ্বাস ফেলে
পথিকজনের পরাক্রমের আর দেখা না মেলে।
নদীর জলে চলে না আর দূষণ করা যান
মাঝির কণ্ঠে যায় না শোনা ভাটিয়ালির টান!
কালো ধোঁয়া, শব্দ দূষণ, সব হয়েছে বন্ধ
বাতাস এখন বয়ে বেড়ায়, ফোটা ফুলের গন্ধ।
হাঁক ছাড়েন না ফেরিওয়ালা, পাখিরা গায় গান
ছটফট যে করছে কেবল, গৃহবন্দী প্রাণ!
স্কুলের ঐ ঘণ্টা ভাবে, “খাচ্ছি না আর মার,
দপ্তরি ভাই থাকুন ঘরে, বাড়ুক ছুটির বার”।
ভাবছে ওরা “এমনি থাকুক, সারাজীবন ভর
মানুষ নামের অত্যাচারী থাকুন সবাই ঘর”।
আমরা ভাবি, কাটবে কবে করোনার এই নিশা!
কবেই আবার ফিরে পাবো, বেঁচে থাকার দিশা!!