পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখে হনুমান মূর্তি থেকে গদা নিয়ে পুকুরে ফেলে দেন
মণ্ডপে কোরআন রাখার পর সহিংসতায়ও অংশ নেন ইকবাল : পুলিশ
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার কথা স্বীকার করেছেন ইকবাল হোসেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে সৃষ্ট সহিংসতাও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। আজ শনিবার কুমিল্লা জেলা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্যই দিয়েছেন ইকবাল। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল জানান, কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখে হনুমান মূর্তি থেকে গদা নিয়ে যান তিনি। কিছুক্ষণ সঙ্গে রাখার পর তা পুকুরে ফেলে দেন। পরদিন সকালে ওই মণ্ডপের আশে পাশেই ছিলেন তিনি। এরপর সৃষ্ট সহিংসতায় তিনি অংশ নেন। বিকেলের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে নগরীর কান্দিরপাড় থেকে শাসনগাছায় যান। সেখান থেকে রেল স্টেশন। ট্রেনে করে পৌঁছান চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম থেকে হেঁটে ও গাড়িতে করে ভেঙে ভেঙে পৌঁছে যান কক্সবাজার।আজ অধিকতর তদন্তের জন্য কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইকবালসহ চারজনকে তোলা হয়। তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মিথিলা জাহান নিপা এ আদেশ দেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁদের আদালতে আনা হয়। কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ইকবাল হোসেন, জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করা ইকরাম, দারোগা বাড়ির মাজারের অস্থায়ী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ন কবীর।nকুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ বলেন, ধর্মীয় অবমাননার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ইকবাল কোরআন রাখার এবং গদা সরানোর কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু কেন বা কার নির্দেশে তিনি এই কাজ করেছেন, সে ব্যাপারে কিছু জানাননি। এ বিষয়ে আমরা অধিকতর তদন্ত করব। এর পেছনে কারা জড়িত, কে তাকে রাখতে বলেছে, এর পেছনে অনেক কিছু আছে। আমরা এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি। এ জন্য সময় লাগবে। আমাদের সময় দেন।এম তানভীর আরও বলেন, অধিকতর তদন্তে আমরা সময় চেয়েছি, আদালত আমাদের সময় দিয়েছে। ধর্ম অবমাননার মামলায় এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে আরও কিছু উঠে আসলে আমরা তাদের গ্রেপ্তার দেখাব।