Current Bangladesh Time
শুক্রবার মে ৩, ২০২৪ ৫:৩৩ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » ভয়াবহ দখল আর দূষণের কবলে পড়ছে বরিশালের কীর্তনখোলা নদী! 
Friday February 7, 2020 , 8:55 pm
Print this E-mail this

ভয়াবহ দখল আর দূষণের কবলে পড়ছে বরিশালের কীর্তনখোলা নদী!


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ভয়াবহ দখল আর দূষণের কবলে পড়ছে বরিশালের কীর্তনখোলা নদী। প্রভাবশালীরা নদীর বিভিন্ন অংশের তীর দখল করে নিজেস্ব সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করছে। ওষুধ শিল্পের রাসায়নিক বর্জ্য, লঞ্চ থেকে ফেলা বর্জ্য আর নিষিদ্ধ পলিথিন কীর্তনখোলা নদীতে পড়ায় ঘটছে দূষণ। নদী রক্ষায় উচ্চাদালতের নির্দেশনা থাকলেও কেউ মানছে না তা। দখলবাজী ও দূষণ রোধে স্থায়ী কোন ব্যবস্থাও নিচ্ছে না বরিশালের প্রশাসন। এদিকে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কীর্তনখোলাসহ বৃহত্তর বরিশালের নদী রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডের প্রভাবশালী রাইভিউল কবির স্বপন কীর্তনখোলা নদীর তীর জুড়ে ইট, বালি, পাথরের এবং ডকইয়ার্ড গড়ে তুলেছেন। স্বপন কীর্তনখোলা তীরের বিশাল অংশের মালিক হয়েছেন।

এখন নদীর অংশ দখল করে সেই জমির প্রশস্ততা বাড়াচ্ছেন। রাইভিউল কবির স্বপন বলেন, খলিফা বাড়ি থেকে কাটাদিয়া খাল পর্যন্ত কীর্তনখোলা তীরে তার ১৭ একর রেকর্ডীয় জমি আছে। যেখানে পাইলিং দেয়া হচ্ছে মাত্র। এই দখলবাজী বন্ধে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে সম্প্রতি উচ্ছেদ অভিযান করলেও বর্তমানে একই অবস্থা বিরাজ করছে বলে স্থানীয়রা জানান। একইভাবে ওষুধ শিল্পকারখানা অপসোনিন দপদপিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন পশ্চিম দিকে কীর্তনখোলা নদীর তীর দখল করছে। অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না কেউ। নদী খাল বাচাঁও রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, সম্প্রতি নদী কমিশনের চেয়ারম্যান বরিশাল সফর করলে এক সভায় তাকে জানানো হয়েছে যে ওষুধ তৈরির কারখানা অপসোনিন দপদপিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন পশ্চিম দিকে কীর্তনখোলা দখল করছে। নদীর ভেতরের প্রায় ১শ ফিট জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রূপাতলী এলাকার কীর্তনখোলা নদী তীর ভরাট করা হয়েছে। নদীতে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে পাউবো’র ফেলানো কংক্রিটের ব্লক দিয়ে। উপজেলা প্রশাসন সেখানে একদিন উচ্ছেদ অভিযান করলেও আগের মতই দখল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ত্রিশ গোউন সংলগ্ন শহর রক্ষাবাঁধ ও একজন জনপ্রতিনিধির বাগানবাড়ি গড়ে ওঠেছে নদী দখল করে। দখলের পাশাপাশি ওষুধ কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন, নিষিদ্ধ পলিথিন ফেলা ও লঞ্চের ময়লা ফেলায় দুষন ঘটছে কীর্তনখোলা নদীর। তিনি বলেন, উচ্চ আদালত নদীকে জীবনসত্ত্বা হিসেবে ঘোষনা করলেও এটি রক্ষায় স্থায়ী কোন উদ্যোগ নেই।সম্প্রতি বরিশালে পরিবেশ বিষয়ক এক সেমিনারে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহমেদের ওষুধ কারখানার রাসায়নিক বর্জ্যে কীর্তনখোলা নদী দূষণের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বক্তারা। এমনকি নদীতে লঞ্চের ময়লা ফেলা, নিষিদ্ধ পলিথিন ফেলার অভিযোগও করা হয়।




Archives
Image
বরিশালের গৌরনদীতে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ : ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম
Image
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে হতে হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
Image
মিল্টন সমাদ্দারের নামে তিন মামলায় যেসব অভিযোগ
Image
নগদ ঘুষ ছাড়া নড়েন না বরিশাল পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা!
Image
বরিশালে সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের উপর হামলার অভিযোগ, ইউপি সদস্য গ্রেফতার