মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ করা মামলায় দু’জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (নভেম্বর ২৫) তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-ইন্দুরকানী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের কালাইয়া গ্রামের রাম বেপারীর ছেলে হৃদয় বেপারী (২২) ও তার বোন শিখা সরকার (২৪)। এরআগে বৃহস্পতিবার (নভেম্বর ২৪) রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী ইন্দুরকানী সরকারি সেতারা স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে দুই বছর ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন কলেজছাত্র হৃদয়। একপর্যায়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৫ মে হৃদয় বেপারী তার ভগ্নিপতির বাড়িতে ওই স্কুলছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, বোন ও ভগ্নিপতির সহযোগিতায় হৃদয় তার মেয়েকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করেন। পরে ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন হৃদয়। গত ১৪ ও ২০ নভেম্বর ফেসবুকে ওই কিশোরীর নামে ফেক আইডি খুলে অর্ধনগ্ন ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন। বিষয়টি জানতে পেরে আত্মহত্যাচেষ্টা চালায় ওই কিশোরী। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে হ্রদয় বেপারী, তার সহযোগী বোন শুভ্রা সরকার ও তার ভগ্নিপতি শুভ্রতর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: এনামুল হক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শুভ্রত সরকারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।