দলের প্রতি ভালোবাসা, আস্থা অতীতে যেমন ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে
বিসিসি নির্বাচন : বিএনপির নোটিশের জবাব দিলেন রুপন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপির ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তের মধ্যে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া মো: কামরুল আহসান রুপন দলটির দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন। শুক্রবার (জুন ২) দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বরাবর এ লিখিত জবাব পাঠান বলে শনিবার (জুন ৩) নিশ্চিত করেন তিনি। জবাবে রুপন লিখেছেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ২৫ মে। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার বিষয়ে কেউ আমার সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করেননি। লিখিত জবাবে তিনি বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর আমার নাম মেয়রপ্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর তা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার পর বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে এ মর্মে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয় যে, আমি বিএনপির কেউ নই। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমি বক্তব্য দিই যে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার আগে বিএনপির পক্ষ থেকে যদি কোনো নিষেধাজ্ঞা আসে তাহলে আমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবো। যেহেতু আমার কোনো সাংগঠনিক পদ বা পদবি নেই এবং কোনো কমিটির সদস্যও নই। যেহেতু ২৬ মে অতিক্রমের পর কারণ দর্শানোর চিঠি পেলাম সেহেতু প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার আমার আর কোনো সুযোগ নেই। এ মুহূর্তে দল যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই মেনে নেব। দলের প্রতি ভালোবাসা, আস্থা অতীতে যেমন ছিল ভবিষ্যতেও সে রকম থাকবে বলেও চিঠিতে লেখেন রুপন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় রুপনসহ সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের ১৯ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই নোটিশের জবাব ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে বলা হয়েছিল। রুপনের বিষয়ে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ বলেন, তিনি বিএনপি পরিবারের সন্তান। সারাদেশের মানুষ জানে এ সরকার আয়োজিত নির্বাচনে বিএনপির কেউ অংশ নেবে না। তিনি যদি বিএনপিকে ভালোবাসতেন তাহলে নির্বাচনে অংশ নিতেন না। আগামী ১২ জুন ভোট হতে যাওয়া বরিশাল সিটি ভোটে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন রুপন। বর্তমানে তার কোনো পদ না থাকলেও এক সময় তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য ছিলেন। তার বাবা প্রয়াত আহসান হাবিব কামাল বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০০২ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশন হলে তিনি প্রথম ভারপ্রাপ্ত মেয়র হন। এরপর ২০১৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শওকত হোসেন হিরণকে হারিয়ে মেয়র হন আহসান হাবিব কামাল।