Current Bangladesh Time
রবিবার অক্টোবর ৫, ২০২৫ ৩:১১ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড : মিন্নিই রক্তাক্ত রিফাতকে হাসপাতালে নিয়ে যান 
Tuesday September 17, 2019 , 8:24 pm
Print this E-mail this

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড : মিন্নিই রক্তাক্ত রিফাতকে হাসপাতালে নিয়ে যান


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : সকাল ১০টা ২১ মিনিট। আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি একাই একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে রক্তাক্ত ও অচেতন রিফাত শরীফকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে নিয়ে যান। সেখানে দাঁড়ানো এক যুবক রিফাত তাদের দিকে দৌড়ে আসেন। রিফাতের অবস্থা দেখে তিনি হাসপাতালের ভেতরে গিয়ে একটি স্ট্রেচার নিয়ে আসেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত অনেকেই এগিয়ে আসেন। এরপর রিকশা থেকে নামিয়ে অচেতন রিফাতকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের একটি ভিডিও হাতে পৌঁছেছে। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সামনের একটি সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রিফাতকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে কোপানোর পর তার স্ত্রী মিন্নি একাই রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ভিডিওতে দেখা যায়, রক্ত মাখা হাতে মিন্নি হাসপাতালের সামনে উপস্থিত একজনের ফোন নিয়ে কল দিয়ে কারো সাথে কথা বলে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন। এর কিছু সময় পরে মিন্নির বাবা মোয়াজ্জেম হোসেন কিশোর হাসপাতালে আসেন। এরপর সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের সময় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের অ্যাস্বুলেন্সটি হাসপাতালের সামনে এনে রিফাতকে বহন করে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়। এরপর ১০টা ৪৪ মিনিটের সময় অক্সিজেন ও দুটি স্যালাইন লাগানো অবস্থায় রিফাতকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমান অ্যাস্বুলেন্সে তোলা হয়। এরপর রিফাত শরীফকে বহন করা অ্যাস্বুলেন্সটি ১০টা ৪৯ মিনিটের সময় বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল প্রঙ্গন ত্যাগ করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের দিকে রওনা হয়। জানা গেছে, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সামনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি ও বরগুনা জেলা পুলিশের একটি সিসি ক্যামেরা আছে। তবে এই ভিডিওটি কোন ক্যামেরার ধারণ করা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ার পর কারামুক্ত হয়ে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসায় অবস্থান করছেন মিন্নি। এ বিষয়ে মিন্নর বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, হাসপাতালের সামনের এই ভিডিওটি আমি সংগ্রহ করে কয়েকজন সংবাদকর্মীকে দিয়েছি। মিন্নি যে রিফাত শরীফতে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, তা কলেজের সামনের ভিডিও এবং হাসপাতাল প্রাঙ্গণের ভিডিওতে সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত। আমার মেয়ে রিফাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। আমার মেয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তিনি বলেন, আমার মেয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই কলেজের সামনের ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে কিন্তু হাসপাতালের সামনের এই ভিডিওটি গোপন করার চেষ্টা করা হয়ছে। কিন্তু তা পারেনি। তিনি বলেন, এরকম আরো একটি ভিডিও আমার সন্ধানে আছে। আমি সেই ভিডিওটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ বিষয়ে মিন্নির মন্তব্য নেয়া যায়নি। মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি। এতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় মিন্নি তার স্বামীকে রক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তার তদন্তে কী আছে সেটা আমি এখনো দেখিনি। কারণ আদালতে দেয়া পুলিশের অভিযোগপত্রের কপি এখনো পাইনি। তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ যদি এই ভিডিওর বিষয় উল্লেখ না করে, তবে তদন্ত প্রতিবেদনটি ত্রুটিপূর্ণ বলে দাবি করেন তিনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা তার (মিন্নি) বিরুদ্ধে যতটুকু অভিযোগ পেয়েছি, তা বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেছি। এখন নতুন করে কোনো ভিডিও বের হয়েছে কি না, সেটা আমাদের জানা নেই।




Archives
Image
তোফায়েল আহমেদের অবস্থা সংকটাপন্ন
Image
অক্টোবরে আসছে বাম দলগুলোর নতুন জোট
Image
বরিশাল জেলা বিএনপির বিবৃতির বিষয়ে যা বললেন আবু নাসের রহমাতুল্লাহ
Image
সন্ত্রাস-দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে তারেক রহমানের ৩১ দফার বিকল্প নেই-রহমাতুল্লাহ
Image
মা ইলিশ সংরক্ষণে বরিশালে বিশেষ অভিযান শুরু