Current Bangladesh Time
মঙ্গলবার জুন ২৪, ২০২৫ ৭:৩২ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশাল নগরীর অর্ধশত স্পটে প্রকাশ্যে মাদকের হাট 
Saturday January 25, 2025 , 5:19 pm
Print this E-mail this

মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান-উপ-পুলিশ কমিশনার

বরিশাল নগরীর অর্ধশত স্পটে প্রকাশ্যে মাদকের হাট


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল নগরীর অর্ধশত স্পটে প্রকাশ্যে ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি হচ্ছে। বিনোদন কেন্দ্রগুলোর আশপাশে হরহামেশাই চলে মাদক সেবন। ত্রিশ গোডাউন, বেলসপার্কের হ্যালিপ্যাড, কেডিসি, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, রসুলপুর, পলাশপুর, বেলতলা, লামছড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় মাদক বিক্রি ও সেবন চলে প্রকাশ্যে। স্কুল-কলেজের অনেক শিক্ষার্থী ক্লাস ফাঁকি দিয়ে স্পটগুলোতে গিয়ে মাদক সেবন করে। বিনোদন স্পটগুলোতে মাদক সেবনকারীদের কারণে ঘুরতে যাওয়া মুশকিল। শুধু নগরী নয়, বরিশাল জেলাজুড়ে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে আছে মাদক বিক্রির নেটওয়ার্ক। এদের অধিকাংশই এক বা একাধিকবার মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়। পরে জামিনে বেরিয়ে আবার জড়িয়ে পড়েছে মাদক ব্যবসায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, নগরীর রূপাতলী এলাকায় ফয়সাল সহযোগীদের নিয়ে ফেনসিডিল বিক্রি করে। তার সঙ্গে রয়েছে-মিলন মোল্লা, কালাম মোল্লা, সাগরদী এলাকার দুলাল, সাজু, শাহীন ওরফে দেড়শ শাহীন, আমতলায় মেহেদী, সাইদ। এছাড়া নুরিয়া স্কুল এলাকার রন্টি, মনির, ইনান, শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় সিমন, জাকির, ডায়াবেটিক হাসপাতালের পরিমল ওরফে অপু, নিউ সার্কুলার রোডের রূপক, বাংলাবাজার এলাকার রফিক ও আরমান, খালেদাবাদ রিফিউজি কলোনির লাকি ও সাথি ইয়াবা-গাঁজার খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা। আর ভাটার খাল এলাকার মুন্না ও তার স্ত্রী যুঁথি, কেডিসি এলাকার নিলু, টিএনটি কলোনির কালু, সদর রোড ও ঈশ্বর বসু রোড এলাকার জোসি, রসুলপুরের কমলা, লিপি ও পলাশ, কেডিসি এলাকার নজরুল ও তার স্ত্রী নাজমা, স্টেডিয়াম কলোনির বাপ্পি, ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডের সেজান এবং ওয়াপদা কলোনির সোহেল মাদকের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা। নাজির পুলের রফিক, নজরুল, সি এন্ড বি রোডের কামাল ওরফে মাইজ্যা কামাল ও জামাল, থানা কাউন্সিল পুকুর পাড়ের সুমন, সোনা মিয়ার পুল এলাকার রিয়াজ, শেরেবাংলা সড়কের রিয়াজুল, বিএম কলেজের দিলওয়ার গাঁজা বিক্রি করে। নতুনবাজার এলাকার হারুন, রাকিব, বেবী নিয়মিত ফেনসিডিল বিক্রি করে। কাউনিয়া পান্থ সড়কে হাতকাটা নিজাম, পশ্চিম কাউনিয়ার শাওন, কাউনিয়া শিশু কলোনির মিরাজ এবং কাউনিয়া হাউজিং এলাকার মজনু দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করছে। পলাশপুর বউবাজার এলাকার কালাম, ১নং পলাশপুরের ডগ স্বপন, ২নং পলাশপুরে ভাসাই, পেডা শাহীন ও রাজিব-আঁখি দম্পতি, নান্টুর ছেলে ইসমাইল, পলাশপুর ৪নং গলির রাকিব, ৫নং পলাশপুর জামাই বাজারের স্বপন ও শাকিল, পলাশপুর ৭নং গলির রিপন এবং মোহাম্মদপুর এলাকার জনি বহুদিন ধরে মাদক ব্যবসা করছে। এর বাইরে বাউয়া সোহাগ, ভাঙ্গারি সোহেল ময়লাখোলা এলাকায় রাশেদ ও তার স্ত্রী লাবনী মাদক বিক্রি করে। বাসু মিয়ার গলির বাসিন্দা ভাঙ্গারি মুন্নি, বিসিক এলাকার কমিশনার গলির সোহেল,ছাব্বির, বিসিক বাস্তুহারা কলোনির সজল ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করে। আর তালতলী এলাকার রাসেল মেম্বার ইয়াবার পাইকারি বিক্রেতা। চরবাড়িয়া ইউনিয়নের চরাবদানি গ্রামের লোড সুমন, কামাল, রফিক, গাঁজা কামাল, নাসিমা বেগম ও নুপুর ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রির সঙ্গে জড়িত। বিমানবন্দর থানা এলাকার অন্যতম মাদক ব্যবসায়ী চওঠা গ্রামের চডা রাসেল, কাশিপুর বাজারের জাহিদ সজল ইয়াবা ও ফেনসিডিল বিক্রির সঙ্গে জড়িত, বন্দর থানাধীন চরকাউয়া মুসলিমপাড়া এলাকার রাজু ও তার স্ত্রী লাকি, চরকাউয়া বরইতলা এলাকার কবির ও রনি, খেয়াঘাটের মিলন, জিরো পয়েন্ট এলাকার হাড্ডি সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। চর আইচা এ আর খান স্কুল এলাকার মিজান ও তার ছেলে জিয়া, কর্ণকাঠি চৌমাথা এলাকায় রুবেল, রাজিব, শুভ, বাহাদুর, চরকরঞ্জি এলাকার রিশাদ, শাহ আলম, দিনারের পোল এলাকার শাওন ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রির সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য হলো-মাদকের বিরুদ্ধে তারা জিরো টলারেন্সে আছে। যে কোনো মূল্যে মাদক কারবারিদের সমূলে উৎপাটনে তারা কাজ করছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির মজুমদার বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান আছে। আর যেসব মাদক বিক্রেতার কথা বলা হয়েছে তারা সবাই চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। এদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।




Archives
Image
সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের প্লট ক্রোক
Image
ইভ্যালির রাসেলের ৩ মাসের কারাদণ্ড
Image
নিবন্ধন আবেদনে তিন প্রতীক এনসিপির, পেতে চায় ‘শাপলা’
Image
ইলেকট্রিক সিগারেটের চালান আটক বিমানবন্দরে
Image
বরিশালের পাঁচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ