|
প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী এটিএম শহিদুল্লাহ কবিরের ইন্দনে এ হামলার অভিযোগ
বরিশালে হামলার বিচার চেয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নালের সংবাদ সম্মেলন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : হামলার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীন হাওলাদার। শনিবার (জুন ৩) দুপুরে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রাজ্জাক স্মৃতি কলোনীতে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে নগরীর সাউথ কিং রেস্টুরেন্টের সামনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুলাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) নির্বাচনী মিটিং চলছিলো। সেখানে আমি মেয়র প্রার্থীর সমর্থনে কর্মীদের নিয়ে উপস্থিত হলে প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী এটিএম শহিদুল্লাহ কবিরের সরাসরি ইন্দনে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় আমার ছোট দুই ভাই, ছেলেসহ ১০ জন আহত হয়েছে। যারমধ্যে ৬ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বলেন, আমার সমর্থনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর উঠান বৈঠকে অংশগ্রহণ করার জন্য ওয়ার্ডবাসী যেতে চাই এটিএম শহীদুল্লাহ কবিরের সমর্থক স্থানীয় বিএনপির কর্মীরা তাদের হুমকি দেয়। এরপর ছাত্রদলের মাসুম, সদ্য বিলুপ্ত হওয়া মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক মান্নার সহযোগী সুমন লোকজন দিয়ে আমাদের ওপর এ হামলা চালানো হয়। অথচ তারাই আবার এখন মিথ্যাচার করছে। বিগত সময়েও আমার লোকদের ওপর হামলা চালিয়ে আবার আমাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে। আপনারা সেখানে থাকা সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনের ভিডিও ফুটেজ দেখেন কারা হামলা চালিয়েছে। আমার সন্তানকে অনবরত লাথি দিয়েছে পা দিয়ে পাড়িয়েছে। আমরা বস্তিতে থাকি বলে হামলাকারীরা মানুষ মনে করছে না। আমি তো এখানে থেকেই ওয়ার্ডবাসীর সেবা দিয়েছি, কোথাও আমি যাইনি। তাও কেউ বলতে পারবে না ওয়ার্ডের কাউকে কখনও অসন্মান করেছি, বা কাউকে ঠেকিয়ে জুলুম করেছি। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, বরিশালের উন্নয়ন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হলে বরিশালের উন্নয়ন হবে। এজন্য আমি ও আমার কর্মীরা যখন ভোটারদের কাছে যাই তখন আমার ভোটের পাশাপাশি নৌকার জন্য ভোট চাই। কিন্তু নৌকার জন্য যে ওয়ার্ড কমিটি করা হয়েছে, তারমধ্যে কয়েকজন রয়েছেন যারা নৌকার ভোট যথাযথভাবে না চেয়ে এটিএম শহিদুল্লাহ কবিরের জন্য ভোট চায়। তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডের মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এবং উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতিপক্ষ প্রার্থী কেন্দ্র দখলে রাখার ঘোষনা দিয়েছে। এসব নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি এবং শুক্রবার রাতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি। তবে শুক্রবার রাতের ওই ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে দাবি করেছেন কাউন্সিলর প্রার্থী এটিএম শহিদুল্লাহ কবির। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে লোক মারফত বিষয়টি তিনি শুনেছেন স্টেজে ওঠা নিয়ে জয়নাল আবেদীনের লোকজন নিজেরা নিজেরা ঝামেলা করেছে। যার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমার লোকজনকে বিভিন্ন স্থানে ধরে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই প্রশাসনের কাছে। এদিকে শুক্রবার রাতে ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জয়নাল আবেদীন হাওলাদার।
Post Views:
৯০
|
|