অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ-লোকমান হোসেন, থানা পরিদর্শক
বরিশালে সিএনজি চালককে হত্যার অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালের একটি ফলের আড়তে পাওনা টাকা আদায় করতে শাহ আলম (৪০) নামে এক থ্রি হুইলার সিএনজি চালককে মারধর করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আড়তদার ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ বলছে, তদন্ত ছাড়া নিশ্চিত করে কিছুই বলা সম্ভব নয়। রোববার রাত তিনটার পর বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শাহ আলমকে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। শাহ আলম বরিশাল নগরীর রসূলপুর এলাকার মোসলেম হাওলাদারের ছেলে। সে পূর্বে নগরীর পোর্ট রোডের ফলের আড়ত সুজন বাণিজ্য ভান্ডারে কাজ করতো। পরে নগরীর সিএনজি চালানো শুরু করে সে। শাহ আলমের স্বজন শুভ বলেন, শাহ আলম ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুজন খানের আড়তে কাজ করতো। সুজন খান ১ হাজার থেকে ১৫ শ টাকা পেতো শাহ আলমের কাছে। বর্তমানে শাহ আলম সিএনজি চালক। রোববার রাত ১১টার দিকে শাহ আলম সিএনজি নিয়ে রসূলপুর আসার পথিমধ্যে সুজন খান ও তার লোকজন শাহ আলমকে আটকে সুজনের পোর্ট রোডস্থ আড়তে নিয়ে যায়। তারপর সেখানে তাঁকে বেধরক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে পাওনা টাকা না পেয়ে শাহ আলমের চালিত সিএনজি রেখে তাকে রিকশায় করে পাঠিয়ে দেয় সুজন। এরপর শাহ আলম রাস্তায় বসে অসুস্থ হয়ে পরলে তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, আমরা প্রথমে শুনেছিলাম গতরাত ৩টার দিকে রিকশায় করে বাসায় যাওয়ার পথে রসূলপুর ব্রীজে বসে অসুস্থ হয়ে পরে শাহ আলম। এরপর রিকশা চালক তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। পরে স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারি, শাহ আলম নামের ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়েছে এবং এর ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এসব বিষয় শুনে আমরা শাহ আলমের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেছি। ঘটনাস্থলও সোমবার পরিদর্শন করা হয়েছে। স্বজনরা অভিযোগ দিলে সেই অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।