|
একজনকে কারাগারে প্রেরণ, বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান
বরিশালে সংঘবদ্ধ ট্রলার চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালে নদী থেকে ট্রলার চুরির ঘটনায় সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সক্রিয় এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে হিজলা থানা পুলিশ। রোববার (জুলাই ২৭) সন্ধ্যায় বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের নয়ানী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার (জুলাই ২৮) ভুক্তভোগী মো: সোবেদ আলী মাতুব্বর বাদী হয়ে হিজলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আমিনুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত ব্যাক্তি হলেন-চরকাউয়া ইউনিয়নের নয়ানী গ্রামের মোঃ হুমায়ুন কবির হাওলাদার ছেলে মো: ইমন হাওলাদার (২৫)। মামলায় মো: ইমন হাওলাদারের বড় ভাই মো: রিপন হাওলাদার ও তাদের বাবা মো: হুমায়ুন কবির হাওলাদারসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। জানা গেছে, এরআগে দীর্ঘদিন ধরে হিজলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী থেকে ট্রলার চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ট্রলার চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কেউ আইনের দারস্থ না হওয়ায় সংঘবদ্ধ চোরচক্রটি ধরাছোয়ার বাইরে ছিল। এদিকে এই চক্রটির সন্ধান পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠে হিজলা থানা পুলিশ। অভিযোগ পেয়েই থানার ওসি শেখ আমিনুল ইসলামের নির্দেশনায় তাৎক্ষনিক চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা আরাফাত হাসান চরকাউয়া ইউনিয়নের নয়ানী গ্রামে এসে সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য মো: ইমন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেন। তাকে গ্রেপ্তার সংবাদ শুনে বাকি আসামী পালিয়ে গেছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী মো: সোবেদ আলী মাতুব্বর পেশায় একজন কৃষক। তিনি গত ২৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭ দিকে তার ইঞ্জিন চালিত স্টীল বডির ট্রলার নিয়ে প্রতিদিনের ন্যায় ঘাস কাটা শেষে আমি হিজলা থানাধীন ৩নং গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কালিকাপুরের সুইচ গেট সংলগ্ন খালের মধ্যে বেধে রেখে বাড়িতে চলে যান। পর দিন ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে পূণরায় ঘাস কাটার জন্য সেখানে গিয়ে দেখেন তার ট্রলারটি নেই। পরবর্তীতে তিনি খোঁজাখুজি করে ট্রলারটি না পেয়ে হিজলা থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন (যার জিডি নং-১১২৩, তারিখ : ২৭/০৭/২০২৫ খ্রিঃ)। তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বরিশালের বিভিন্ন ডকে ইতিপূর্বে চোরাই ট্রলার কেটে বিক্রি করা হয়। সেই সংবাদের ভিত্তিতে তিনি তার ছেলেকে বরিশালের বিভিন্ন ডকে ট্রলারটি খোঁজার জন্য পাঠান। তার ছেলে ৭নং চরকাউয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ নয়ানী গ্রামে মো: ইমন হাওলাদার, মো: রিপন হাওলাদার ও মো: হুমায়ুন কবির হাওলাদারের মালিকানাধীন ডকে গিয়ে ট্রলারটি দেখতে পায়। এরপর তিনি হিজলা থানা এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানা পুলিশের সহায়তায় সেখানে গিয়ে দেখতে পান তার ট্রলারটি ডকে উঠিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলছে। তখন পুলিশ মো: ইমন হাওলাদারকে আটক করে। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চোরচক্রের সদস্য মো: ইমন হাওলাদার ট্রলারটি চুরির কথা স্বীকার করে। এমনকি ট্রলারটি চুরি করার সময় তার সাথে বড় ভাই মো: রিপন হাওলাদার ও তাদের বাবা মো: হুমায়ুন কবির হাওলাদার ও অজ্ঞাতনামা চোরেরা ছিল বলেও জানান। এ সময় ট্রলারটির কাটা টুকরো
টুকরো অবস্থায় জব্দ করা হয়। হিজলা থানার ওসি শেখ আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রায়শই ট্রলার চুরির ঘটনা শুনতাম, কিন্তু এরআগে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। এবার মো: সোবেদ আলী মাতুব্বরের অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি থানায় মামলা করেছেন। মামলার বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Post Views: ০
|
|