মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত যুগ্ম সদস্যসচিব মো: মারজুক আব্দুল্লাহকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণপিটুনি দিয়েছে একদল যুবক। বরিশাল জিলা স্কুলের সামনে থেকে তাকে ধরে ১৫ থেকে ২০ জন মিলে বেদম মারধর করে। এ সময় আশপাশের লোকজন উদ্ধারের চেষ্টা করলেও ক্ষুব্ধরা তাকে কিলঘুষি দিতে থাকে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মারজুক আবদুল্লাহকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, মামলার নামে চাঁদাবাজি এবং হয়রানির অভিযোগের শিকার লোকজন এই হামলা করেছে। এর আগে পটুয়াখালীর দুমকিতে একটি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলার আসামি হয়ে কারাগারে ছিলেন মারজুক আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার নগরীর জিলা স্কুল মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ আদায় করে বের হন মারজুক আবদুল্লাহ। এ সময় স্কুল গেটের সামনে অপেক্ষমাণ ১৫-২০ জন তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। তারা মারজুককে কিল, ঘুষি, লাথি মারে এবং শরীরের ওপরে উঠে আঘাত করে। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। অবশ্য পরে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মারজুকের ওপর হামলাকারীদের অভিযোগ, চাঁদাবাজির কৌশল হিসেবে মারজুক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার শিকার হয়েছে বলে থানায় মামলা করে। সেই মামলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ কৃষক, দিনমজুর এবং বিএনপির নেতা-কর্মী, সমাজসেবক, সাংবাদিককেও আসামি করে। ওই ঘটনায় সমন্বয়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। এ বিষয়ে জানতে মারজুক আবদুল্লাহকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মারধরের শিকার মারজুক আবদুল্লাহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় একটি মামলার বাদী। তাকে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করেছে। হামলার ঘটনায় তিনি লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।