Current Bangladesh Time
রবিবার মে ৫, ২০২৪ ২:০০ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে বাড়ানো হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা, চলছে মাইকিং 
Tuesday May 19, 2020 , 3:58 pm
Print this E-mail this

আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থাকার উপযোগী এবং পর্যাপ্ত খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান বিভাগীয় কমিশনার

বরিশালে বাড়ানো হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা, চলছে মাইকিং


নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মঙ্গলবার (১৯ মে) রাতে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানাতে পারে। এমন খবরে সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে বরিশাল বিভাগে ৬ হাজার আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। সতর্ক করতে উপকূলের বিভিন্ন স্থানে চলছে মাইকিং। মঙ্গলবার ভোর থেকে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে জনসাধারণকে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে। বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো: ইয়ামিন চৌধুরী জানান, বরিশাল বিভাগে ৬ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১১ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় ২ হাজার ৪০০ আশ্রয়কেন্দ্রে ১১ লাখ মানুষকে জায়গা দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এবার করোনার কারণে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, উপকূলীয় এলাকায় বেশকিছু ঝুঁকিপূর্ণ বাধ রয়েছে। সেসব এলাকার মানুষকে এরই মধ্যে সতর্ক করা হয়েছে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা যেন আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে যায়, সে বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। এরমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থাকার উপযোগী এবং পর্যাপ্ত খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান বিভাগীয় কমিশনার। এ বিষয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, নদী ভাঙনের ব্যাপারে আমরা লক্ষ্য রাখছি এবং কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু বুঝতে হবে নদী ভাঙনরোধে বেড়িবাঁধ একটি বিশাল প্রকল্প, এটা আজ বলেই কাল শুরু করতে কিংবা শেষ করতে পারি না। উপকূলীয় এলাকার জন্য সমীক্ষা করা হচ্ছে, প্রকল্প আমাদের আছে এবং আমরা করবো। কিন্তু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা যেখানে ভাঙন হচ্ছে, সেইসব এলাকা মোটামুটিভাবে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ, আর যেদিকে তাকাবেন নদীও তীর ভাঙতে থাকে। এটা রোধে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তবে ছোট ছোট ভাঙন হতেই থাকবে, যা নিয়ে আমাদের বসবাস করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই দোয়া করি যেন, আম্পান আমাদের দিকে না আসে। তারপর যদি আসে আমরা প্রস্তুত আছি যেন বেশ আকারে ক্ষয়ক্ষতি না হয়। আমাদের প্রকৌশলীরা যে যার এলাকায় রয়েছেন। জেলা প্রশাসকরা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকার যেসব জায়গাতে বেড়িবাঁধগুলো নাজুক অবস্থায় রয়েছে, সেসব জায়গার তালিকা প্রকৌশলীর কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে। নাজুক অবস্থায় থাকা বেড়িবাঁধগুলো নিয়ে অনেক স্থানে কাজও করছেন প্রকৌশলীরা। আশা করি, বন্যা আসার আগেই আমরা বেড়িবাঁধগুলো সংস্কার করতে পারবো। এখন ঘূর্ণিঝড় আম্পান যে এলাকাতে আসবে, সেসব এলাকার লোকজনকে আমরা সাবধান করেছি এবং আমাদের প্রকৌশলীরা সেখানে কাজ করছেন। পাশাপাশি তিনি জনগণকে শান্ত থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলার পরামর্শ দেন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরিশাল কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে যা বোঝা যাচ্ছে, তাতে এটি যদি আঘাত হানে, তা অতি প্রবল হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশী।




Archives
Image
দেশের দুই অঞ্চলে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
Image
৫ লাখ লিফলেট বিলি করছে বিএনপি, কী আছে এতে?
Image
মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী ডিবিতে
Image
ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
Image
আগুনের পরিধি দুই কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে, তদন্ত কমিটি গঠন