|
প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়া দরকার, না হলে করোনা ভাইরাস থেকে কেউই রেহাই পাবো না
বরিশালে বাহির থেকে দোকান বন্ধ, ভিতরে চলছে বেচাকেনা, ব্যাবসায়ীরা প্রসাশনের সাথে খেলছে চোর পুলিশ!
শামীম আহমেদ : বরিশালে সরকারি নিষেধ অমান্য করে চকবাজার, কাটপট্টি, পদ্মবর্তী মাকেংট সহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে চলছে নতুন নতুন পদ্ধতিতে ব্যবসা। আতঙ্কে আছে ঘর বন্দী সচেতন ব্যক্তিগণ। নগরীর চকবাজার ও পদ্মবর্তী মাকেংটে গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকটি কাপড়ের দোকান বাহির থেকে দেখে মনে হয় বন্ধ। কিন্তু ভিতরে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। মানা হচ্ছে না সমাজিক দূরত্ব। চলছে পাইকারি ও খুচরা বেচাকেনা। বিশেষ করে ছিট-কাপড়ের দোকান, জুতার দোকান, কসমেটিকসের দোকানসহ ব্যাবসা প্রতিষ্টান খোলা আপাতত বন্ধ রাখার নিষিদ্ধ দিয়েছেন সরকার। কিন্তু পদ্মাবর্তী ও চকবারের ব্যবসায়ীরা কে শুনে কার কথা। তাদের দোকানের সার্টার অথবা দরজার তালা খুলে বাইরে এখানে-সেখানে দাড়িয়ে থাকছে, বসে থাকছে। এর পরপরই লোক দেখলেই আস্তে আস্তে চারিদিকে তাকিয়ে বলে আপা কি লাগবে। দোকান খোলা ভিতরে ঢুকে দেখুন কি লাগবে। দোকান খোলার নিয়ম নাই। তাই অর্ধেক সাটার খোলা রাখছি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন নতুন ক্রেতা আসা যাওয়া করেই যাচ্ছে ওই সব দোকানগুলোতে। বাইরে থেকে প্রশাসন মনে করছে দোকান তো কেউ খুলছে না। শুধু রাস্তায় আছে পথচারীরা। শুধু পথচারীরাই নয় পদ্মাবর্তীতে রয়েছে ক্রেতারা, বুঝে ফেলেছে ব্যবসায়ীদের ব্যবসার নিয়ম। সেই নিয়মেই কেনাকাটা করতে চলে আসছে অনেকেই। এ কেমন বাঙ্গালীর ধর্ম। মানে না আইন, মানে না প্রশাসন, মনে হচ্ছে সরকার নিয়ম কানুন জোর করেই চাপিয়ে দিচ্ছে। সচেতন নাগরিকদের অভিযোগ, প্রতিদিনই ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। তার পরেও মানুষকে আটকিয়ে রাখা যাচ্ছে না ঘরে। অনেকে খেতে পারছে না ভাত। কিন্তু কি আর বলার আছে, যাদের টাকা আছে, তাদের মার্কেটিংও আছে। এদিকে নগরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাবসায়ীরা প্রসাশনের সাথে খেলছে চোর পুলিশ। প্রশাসন দেখলেই সাটার বন্ধ। চলে যাওয়ার সাথে সাথে, সাটারের অর্ধেক খোলা রেখে চলছে তাদের বেচাকেনা। পথচারীদের অভিযোগ, প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়া দরকার। না হলে করোনা ভাইরাস থেকে কেউই রেহাই পাবো না।
Post Views:
১০৯
|
|