হামলাকারী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়
বরিশালে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১০
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : নেতার জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বরিশাল নগরীর চাঁদমারীতে বিএনপি ও কাউন্সিলর অনুসারীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পুলিশ এবং নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাতজনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ রয়েছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে চাঁদমারী চৌরাস্তা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যের নাম মো: কামরুল। তিনি কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক পদে কর্মরত রয়েছে। এছাড়া বিএনপি নেতা কামরুল (৪২) ও তার স্ত্রী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বরিশাল মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদিকা ফরিদা বেগম (৩৫) স্থানীয় বাসিন্দা জলিল আকন (৩০), বেল্লাল (২৮) সহ পথচারী পারভেজ (২৬), সিফাত (২৫) সহ চারজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তবে আহতদের মধ্যে বেলাল আশাঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আহত বিএনপি নেতা কামরুল জানান, নগরীর চাঁদমারী এলাকায় বিএনপি নেতা এ্যাড.মজিবর রহমান সরোয়ার ভাই’র প্লট রয়েছে র্দীঘ বছর ধরে। ওই প্লটের দেখভাল করি আমি নিজেই। বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় সিদ্দিক এর সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কামরুলের সাথে বিরোধ হয়। এর জের ধরে রাতে সিদ্দিক লোকজন নিয়ে কামরুল ও তার লোকেদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এসময় বাধা দিতে গেলে কোতয়ালী মডেল থানার এসআই কামরুল এবং নারীসহ অন্তত পাঁচজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা। তবে হামলার চিত্র ঘটনাস্থলের একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরায় ধারণ হলে হামলাকারীরা সিসি ক্যামেরাগুলো ভাংচুর করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ঘটনার পর পরই হামলাকারী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদমারী এলাকায় ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।বিষয়টি নিয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম জানান, চাঁদমারী এলাকায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ সদস্য সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি মামলার বাদী পুলিশ। আর অন্য দুটি মামলার বাদী হলেন-মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদিকা ফরিদা বেগম ও স্থানীয় জলিল আকন। তবে হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।