ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদটি ওই এলাকার অসংখ্য ইতিহাসের নিরব স্বাক্ষী
বরিশালে কালের স্বাক্ষী দুইশ’ বছর পুরানো জামে মসজিদ
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বাহারি নকশা ও কারুকার্য খচিত নয়নাভিরাম প্রায় দুইশ’ বছরের ইতিহাসের নিরব স্বাক্ষী হয়ে অযত্ন, অবহেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদ। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আমবৌলা গ্রামের মরহুম কালু হাওলাদারের বাড়িতে অবস্থিত এ মসজিদটি দেখার জন্য প্রায় দেশের বিভিন্নস্থান থেকে লোকজনের সমাগম ঘটে।প্রত্নত্বত্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদটি সংস্কার করা হলে দর্শনার্থীদের কাছে আরও আকর্ষনীয় হয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন আগত দর্শনার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন অযত্ন ও অবহেলায় পরে থাকার পর এলাকাবাসী ওই মসজিদের পাশ্ববর্তীস্থানে নতুন করে একটি মসজিদ নির্মান করে ইবাদত বন্দেগী করছেন। অথচ দুইশ’ বছরের পুরনো ওই এলাকার সর্বপ্রথম মসজিদটি অযত্ন অবহেলায় পরে রয়েছে। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাদের পূর্ব পুরুষদের সময়ে ইট-সুরকি দিয়ে এ মসজিদটি নির্মানের সময় স্থানীয় প্রভাবশালী এক জমিদার বাড়ী থেকে কঠোর হুকুম আসে। জমিদার বাড়ীতে ইটের গাঁথুনি না হয়ে প্রজাদের বাড়িতে ইটের গাঁথুনি হতে পারবেনা বলে নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে উপায়অন্তুর না পেয়ে বাধ্য হয়ে আল্লাহতায়ালার ঘর মসজিদ নির্মানের স্বার্থে আগে জমিদার বাড়িতে পাকা পুকুরের ঘাটলা ও একটা ঘর নির্মান করে দেয়া হয়।পরবর্তীতে ইট-সুরকি দিয়ে মসজিদটি নির্মান করা হয়েছে। বর্তমানে ইতিহাসের নিরব স্বাক্ষী হয়ে অযত্ন, অবহেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা বাহারী নকশা ও কারুকার্য খচিত নয়নাভিরাম ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদের চারিপাশে লতা-পাতা, গাছপালায় ঝোপঝাড়ে একাকার হয়ে রয়েছে। এখনও প্রতিদিন বাড়ির লোকজনে সন্ধ্যা হলে ওই পরিত্যক্ত মসজিদে মোমবাতি জ্বালিয়ে সন্ধ্যা বাতি দিচ্ছেন। আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কারুকার্যখচিত ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদটি ওই এলাকার অসংখ্য ইতিহাসের নিরব স্বাক্ষী বহন করে আসছে।