|
নারীসহ ৪ জন আটক, অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত
বরিশালে আসামী ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর ছাত্রদল নেতার হামলা!
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অধীনে গত রাতে বিসিসি ১০নং ওয়ার্ডস্থ কাঁচাবাজার এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাত ০০:১৫ মিনিটের দিকে, যখন পুলিশ সদস্যরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে স্থানীয়দের আক্রমণের শিকার হন। প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারি পরোয়ানার আওতায় অভিযুক্ত আসামী মো: মাসুদ হাওলাদার মাসুমকে (৩৫) গ্রেফতার করার সময় তার সঙ্গীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে মারমুখি আচরণ শুরু করেন। পুলিশ সদস্যরা, অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে, আসামীকে গ্রেফতার করতে গেলে একদল উত্তেজিত ব্যক্তিরা বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে পুলিশকে আক্রমণ করতে শুরু করে।

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অংশ নেয় ৬০-৭০ জনের একটি জনতাবদ্ধ গ্রুপ, যারা ইট, লাঠি এবং বাঁশ দিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। এই হামলায় স্টিমারঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই গোলাম মো: নাসিম হোসেন এবং এএসআই বোরহান উদ্দিন গুরুতর আহত হন। এসআই নাসিমের ডান হাতের কব্জি এবং কনিষ্ট আঙ্গুলে গভীর ক্ষত হয়, পাশাপাশি এএসআই বোরহান উদ্দিন নীলা ফুলা আঘাত পান। এছাড়া, হামলার শিকার হন অভিযানে অংশ নেয়া অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা, যাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগেছে। তবে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই স্থানীয় মোবাইল ফোর্স এবং অভিযান ডিউটির পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত পুলিশ সদস্যদের রক্ষা করেন এবং চারজনকে আটক করেন। আটকৃতরা হলেন-মো: রাইজুল ইসলাম রিফাত (২৮), পিতা-মো: নাসির খলিফা, মো: সোহেল হাওলাদার (৩০), পিতা-মো: রুস্তুম আলী হাওলাদার, মোসা: শিল্পী বেগম (৪০), পিতা-মো: রুস্তুম আলী হাওলাদার, নাসরিন জাহান রিমি (২৫), পিতা-মো: নাসির খলিফা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাসুম বরিশাল নগরীর ১০নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদে রয়েছেন। এদিকে, অপর আসামীরা ঘটনার স্থান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আহত অফিসারদের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে এবং এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানিয়েছে, পুলিশের কাজে বাধা প্রদান এবং আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম চলছে এবং পুলিশ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
Post Views: ০
|
|