মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (জানুয়ারি ১৩) রাত ১১টার দিকে নগরীর বাটার গলি নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাবেক এই উপজেলা চেয়ারম্যানকে বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আব্দুল মালেক হাওলাদার বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান আব্দুল মালেক হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি আব্দুল মালেক হাওলাদার। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি তিনি তার বাটারগলি বাসভবনে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। গত ৪ আগস্ট বরিশালে জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২৩ আগস্ট কোতোয়ালি মডেল থানায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩৮১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরো ৬০০-৭০০ জনকে। ওই মামলায় আব্দুল মালেক হাওলাদারকে নিজ বাসভবন থেকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আব্দুল মালেক হাওলাদার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন রিপনের চাচা। উল্লেখ্য, আব্দুল মালেক গত মার্চে অনুষ্ঠিত বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচনে সকলকে অবাক করে দিয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়।রাজনৈতিক মাঠে সক্রিয় না থেকেও হঠ্যাৎ করে নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমে ভাতিজা আ’লীগ নেতা সালাউদ্দিন রিপনের কারিশমায় বরিশালের হেবিওয়েট নেতাদের পরাজিত করে বিজয়ী হন তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ভোটারদের বিপুল অর্থের বিনিময়ে ভোট প্রয়োগে প্রভাবিত করেন। বিশেষ করে গ্রামের নারীদের বিভিন্ন উপহার সামগ্রী ও ছাগল প্রদান করে আলোচনায় আসে তাদের এস আর সমজকল্যাণ সংস্থা। মূলত এ কৌশল কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে নারী ভোটারদের ভোট বাগিয়ে তিনি সক্ষম হয়।