|
শিক্ষকের সেই নোংরা কথাগুলো তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানিয়ে দিলেন ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা
ফেঁসে যাচ্ছেন বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের দুষ্ট অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল নগরীর পশ্চিম বগুড়ারোডের টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্ররা কলেজে আসতে দেরী হলে শিক্ষার্থীদের জন্মের পরিচয় নেই এমনকি ঠিকমত জন্ম হয়নি বলে কটাক্ষ করা হয় যখন-তখন। এছাড়া কলেজ অধ্যক্ষ শেখ মোঃ তরিকুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সামনে বসে তাদের অভিভাবক মাকে পতিতা এমনকি শিক্ষার্থীদের পিতার পরিচয় নিয়ে তাদের মায়েদের অপদস্ত করার অভিযোগ এনে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজর দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর করা অভিযোগ তদন্তে এসে সত্যতা পেয়েছে মন্ত্রালয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর পরিচালক ও পরিকল্পনা বিভাগের যুগ্ম সচিব মোঃ অহিদুল ইসলাম। গতকাল শনিবার দুপুর একটার দিকে যুগ্ম সচিব অহিদুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. হাবিবুর রহমান খানকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন ক্লাসে গিয়ে যুগ্ম সচিব অহিদুল ইসলাম প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষর্থী ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে খোলা মেলা সাক্ষাৎ করা সহ অধ্যক্ষের বিষয় জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা চিৎকার করে বলে আমরা কোন পতিতার ঘরের সন্তান নই অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম আমাদের সহ আমাদের অভিভাবক মায়েদেরকে সম্মান না দিয়ে তাদের বিয়ে ও ঠিকমত সন্তান জন্ম হয়েছে কিনা বলে অপমান করা হয় বলে সাক্ষ দিয়ে অধ্যক্ষ শেখ মোঃ তরিকুল ইসলামের বিচার দাবী করেন। যুগ্ম সচিব এসময় অভিভাবক নাসিমা আক্তার, নাসরিন, সুলতানা,মোসাঃ কহিনুর বেগম, পেয়ারা বেগম ও শিক্ষার্থী নাজমুল,মোঃ তানভীর হেসেন সহ বেশ কিছু শিক্ষর্থীদের সাক্ষ্য গ্রহন করেন। সাক্ষ্য গ্রহন শেষে যুগ্ম সচিব শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মায়েদেরকে আশস্ত করে বলেন, এর সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া সহ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের কথা তিনি তুলে ধরবেন। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের তদন্ত চলাকালীন সময়ের এক প্রর্যায়ে অধ্যক্ষ শেখ মোঃ তরিকুল ইসলামের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা বলবেন না বলে জানান। তারপরও তদন্তকারী টিম কেন কলেজে এসেছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে এসেছে। কি অভিযোগে এসেছে তা তিনি জানেন না। তদন্ত শেষে যুগ্ম সচিব অহিদুল ইসলাম উপস্থিত সংবাদ কর্মীদের মুখামুখি হলে তিনি বলেন, কারিগরি মন্ত্রালয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের অধ্যক্ষ শেখ মোঃ তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা তদন্ত করতে এসে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তিনি অধ্যাক্ষের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য প্রতিবেদনে তুলে ধরবেন। উল্লেখ্য গত ৮ইমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিভাবক সমাবেশে শিক্ষর্থী অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ওই সব ভাষা ব্যাবহার করার জন্য অধ্যাক্ষে বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের বাচ্চাদের জন্মের সমস্যা আছে এবং জন্ম খারাপ। এরই প্রতিবাদে এক অভিভাবক (মা) বলেন, আমার সন্তানের পিতা আছে, কাবিননামাও আছে আমি স্বামীর সংসার করছি তারমধ্যে সন্তান অবৈধভাবে জন্ম হয় কিভাবে। এসময় অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম প্রতিবাদী মাকে বলেন, আপনার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলেই বোঝা যায় আপনি দুই নম্বর। তরিকুল ইসলামের এমন অসাদাচরণে সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ প্রেরন করা হলে তারই প্র্র্রেক্ষিতে এই তদন্ত টিম বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য আসেন। এছাড়া অধ্যক্ষ শেখ মোঃ তরিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আয়সা চৌধূরীর দ্বৈত শাসনে অতিষ্ঠি হয়ে উঠেছে সাধারন শিক্ষক-কর্মচারী। এদের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে শিক্ষা মন্ত্রালয় সহ ৮টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এক চল্লিশ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিজ নিজ স্বাক্ষরে অভিযোগ প্রেরন করেন।
Post Views: ০
|
|