Current Bangladesh Time
শনিবার এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ২:০২ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » প্রেস ক্লাবে আটকে মারধরে জখম সাংবাদিক মাসউদ মারা গেছেন 
Sunday March 3, 2024 , 8:19 pm
Print this E-mail this

তালুকদার মাসউদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার আইনে মামলা-সোহেল হাফিজ

প্রেস ক্লাবে আটকে মারধরে জখম সাংবাদিক মাসউদ মারা গেছেন


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরগুনা প্রেস ক্লাবে আটকিয়ে বেধড়ক মারধর করার ১৩ দিন পর সাংবাদিক তালুকদার মাসউদ মারা গেছেন। শনিবার রাতে তিনি মারা গেছেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তালুকদার মাসউদ মৃত আবদুল ওহাব মাস্টারের ছেলে ও বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার। কাজ করেছেন দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকায়। জানা যায়, তালুকদার মাসউদ ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় সাংবাদিক মুশফিক আরিফ, সাংবাদিক মিজানুর রহমান ও হারুন অর রশিদ রিংকুর সঙ্গে কেরাম খেলতে বরগুনা প্রেস ক্লাবে যান। একটু পর প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাংবাদিক সোহেল হাফিজ প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে তাদের আগমন বিষয়ে জানতে চান। এ সময় বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে যান তারা। ধীরে ধীরে প্রেস ক্লাবের সদস্যরা আসতে থাকেন। কথা কাটাকাটিতে উত্তেজিত হয় উভয়পক্ষ। শুরু হয় মারধর। মারধরে একপর‌্যায় তালুকদার মাসউদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়েন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। দ্রুত তালুকদার মাসউদকে অ্যাম্বুলেন্সে প্রথমে বরগুনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। বরগুনার চিকিৎসক মাসউদকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বরিশাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে প্রেরণ করেন। মাসউদ একটু সুস্থ হলে তাঁকে বরগুনার বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা। শনিবার আবার অসুস্থ হলে মাসউদকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাত ১১টায় সেখানে মাসউদ মৃত্যু বরণ করেন। মাসউদের মেয়ে সাদিয়া তালুকদার তন্নি বলেন, আমার বাবাকে বরগুনা প্রেস ক্লাবের সদস্য সোহেল হাফিজ, ইমন, মুরাদ, কাশেম, সাইফুল মিরাজসহ অসংখ্য লোকজন প্রেস ক্লাবে তালা বন্ধ করে মারধর করে ফ্লোরে ফেলে রাখে। আমি ও আমার মা সংবাদ পেয়ে বরগুনা প্রেস ক্লাবে ছুটে যাই। আমার বাবা জোরে জোরে চিৎকার দিয়ে বলেন আমাকে বাঁচাও। তারপরও তারা আমার বাবাকে হাসপাতালে নিতে দেয় না। পরে পুলিশ এসে আমার বাবাকে প্রেস ক্লাব থেকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে বরগুনা সদর হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও তারা বাধা দেয়। ১৯ তারিখে প্রেস ক্লাবের সদস্যরা আমার বাবাকে মারধর করে হত্যা করে। আমরা এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। এ ব্যাপারে সোহেল হাফিজ বলেন, তালুকদার মাসউদ, মুশফিক আরিফসহ কয়েকজন মিলে প্রেস ক্লাব দখল করতে এসেছিলেন। তালুকদার মাসউদ, মুশফিক আরিফসহ বহিরাগতরা আমাদের সদস্যদের মারধর করেছে। আমরা ২৯ ফেব্রুয়ারি তালুকদার মাসউদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার আইনে মামলা করেছি। আমরা তালুকদার মাসউদকে মারধর করিনি। তারা আমাকে লাঞ্ছিত করেছে। সদস্যদের মারধর করেছে। তিনি বলেন, তালুকদার মাসউদ আগে থেকেই হার্টের রোগী। আমাদের ধারণা তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁর জন্য আমাদের দোয়া রইল। বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি শুনেছি তালুকদার মাসউদ মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি।




Archives
Image
পিরোজপুরের কাউখালীতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: চান মিয়ার শেষ বিদায়
Image
বরিশালে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় কথিত যুবলীগ নেতা মাসুদ গ্রেফতার
Image
২৪ বছর পর কারামুক্ত ওলিউলকে বাঁচার স্বপ্ন দেখালেন বরিশাল জেলা প্রশাসক
Image
আবারও ক্যান্সারে মৃত্যু, বড়সড় জরিমানার মুখে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’
Image
অকালেই নিভে গেল শিশু সামিয়ার জীবন প্রদীপ