প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » প্রেমের ফাঁদে ফেলে বরিশালে পুলিশ কনষ্টেবলকে মারধর ও চাঁদা আদায়, গ্রেপ্তার ৪
Thursday September 15, 2022 , 3:41 pm
বেআইনী জনতায় বিশ্বাস ভঙ্গ করে আটকের পর মারধর, চাঁদা দাবী ও আদায়ের অভিযোগে মামলা
প্রেমের ফাঁদে ফেলে বরিশালে পুলিশ কনষ্টেবলকে মারধর ও চাঁদা আদায়, গ্রেপ্তার ৪
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : প্রেমের ফাঁদে ফেলে পুলিশ কনষ্টেবলের কাছে চাঁদা দাবি, জোর পূর্বক অর্থ আদায় ও মারধরের অভিযোগে বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্র ও দুই যুবতীসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ কনষ্টেবল বাদী হয়ে বুধবার দিনগত গভীর রাতে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করে বলে ওসি আজিমুল করিম জানিয়েছেন। এরআগে ওই রাতে কলেজ ছাত্র ও দুই যুবতীকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলো-বিএম কলেজের ডিগ্রি হলের ৩১৯ নম্বরের এ ব্লকের আবাসিক ছাত্র ও বরগুনার তালতলী উপজেলার সানিপাড়া এলাকার বাসীন্দা মোস্তফা ডাকুয়ার ছেলে সুমন ডাকুয়া (২৬), নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ড হাজী জালাল আহম্মেদ লেনের বানাত মঞ্জিলের ভাড়াটিয়া ও ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সারদল এলাকার বাসীন্দা আব্দুল জব্বার হাওলাদারের ছেলে পারভেজ হাওলাদার (২২), ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার দক্ষিন সাউথপুর গ্রামের বাসীন্দা নুরুল হক হাওলাদারের ছেলে তানিয়া আক্তার (২১) ও তার বোন রিমা আক্তার (২৫)। মামলার পলাতক আসামী অজ্ঞাত ঠিকানার বায়েজিদ আলম (২৮) ও রোহান (২০)। মামলার বাদী আনিসুর রহমান ভোলা জেলা পুলিশ লাইন্সের কনষ্টেবল এবং পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার দক্ষিন রাজাখালী গ্রামের আলী আকবর খানের ছেলে। বাদী পুলিশ কনষ্টেবল আনিসুর রহমান জানান, দুই মাস পূর্বে তানিয়া আক্তারের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়। এক পর্যায়ে ১৫ দিনের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বুধবার বরিশাল নগরীতে আসেন। বরিশাল নগরীর গীর্জ্জা মহল্লা এলাকায় মোবাইল ফোন মেরামত করে তানিয়াকে কল করলে তাকে দেখা করার জন্য বিএম কলেজের প্রথম গেটের সামনে যায় তিনি। সেখানে পৌঁছলে তানিয়া তাকে বানাত মঞ্জিলের নিচ তলার দক্ষিন পাশের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর মামলার নামধারী ৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো দু’জনকে ফ্ল্যাটে দেখতে পায়। তারা তাকে মারধর করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। আসামীরা সাথে থাকা ৩ হাজার টাকা নিয়ে আরো টাকার জন্য বিএম কলেজের সামনে পূবালী ব্যাংকের বুথে নেয়। বুথ থেকে আরো দুই হাজার টাকা উত্তোলন করে ছিনিয়ে নেয়। পরে মারধর করে ভাই ও ফুফাকে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে আরো ৫ হাজার টাকা আনিয়ে আসামীদের দেন পুলিশ কনষ্টেবল। বিষয়টি ভাই ও ফুফা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ গিয়ে দুই যুবতীসহ চারজনকে আটক করে। কিন্তু অন্যরা পালিয়ে যায়। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে বেআইনী জনতায় বিশ্বাস ভঙ্গ করে আটকের পর মারধর, চাঁদা দাবী ও আদায়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই মামলার আসামী হিসেবে চারজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।