|
প্রধানমন্ত্রীর দোয়া নিলেন আতিক
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দোয়া নিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর গণভবনে যান আতিক। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোয়া কামনা করেন তিনি। বিষয়টি গণভবন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া আতিকুল ইসলামের ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করা হয় রাত সাড়ে ৮ টার দিকে। সেখানে দেখা যায় আতিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে আছেন। ছবির সঙ্গে লেখা ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দোয়া নিতে গিয়েছিলাম।’ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। ২১ দিনের বিরামহীন প্রচার-প্রচারণা শেষে এখন ভোটের অপেক্ষায় প্রার্থী এবং ভোটাররা। প্রায় ৫৫ লাখ ভোটারের দুই সিটিতে চোখ পুরো দেশবাসীর। ঢাকায় চোখ পুরো দুনিয়ার। কেমন হবে নির্বাচন? কেমন থাকবে ভোটের দিনের পরিবেশ এমন আলোচনা এখন চারপাশে। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন কারো পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছে কমিশন। আমরা আশা করি, এ নির্বাচন দেশের সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এবার দুই সিটিতে মেয়র পদের জন্য লড়ছেন বিভিন্ন দলের ১৩ জন (দক্ষিণে ৭, উত্তরে ৬ জন) প্রার্থী৷ তবে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চার প্রার্থীর প্রচারের ডামাডোলে অনেকটাই ম্রিয়মান অন্যরা। উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম এবং বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। দক্ষিণ সিটিতে বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। এদিকে নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি নানা অভিযোগ এসেছে। কেন্দ্র দখল, কেন্দ্র পাহারার কথাও এসেছে প্রার্থী এবং তাদের দলের নেতাদের মুখ থেকে। কেন্দ্র দখল করতে ভাড়াটে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ঢাকায় আনা হয়েছে এই অভিযোগ এসেছে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের তরফে। এবারই প্রথম দুই সিটিতে ইভিএমে পুরো ভোট গ্রহণ করা হবে। ঢাকাবাসীর জন্য এটি হবে নতুন অভিজ্ঞতা। আগের ভোটগুলোতে রাতেই ভোট দেয়া, কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ ছিল। কিন্তু এবার ইভিএমে ভোট কাস্ট করতে হলে ভোট লাগবে। তাই ভোটারদেরও কেন্দ্রে যেতে হবে। ঢাকার ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে যেতে পারবেন কিনা, যেতে চাইবেন কিনা এমন প্রশ্ন খোদ প্রার্থীদেরও। তারা বলছেন, অতীতের অভিজ্ঞতা ভোটাদের জন্য সুখকর নয়। তাই তাদের কেন্দ্রমুখি করতে ভোটের দিনের পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাতাসে নানা কিসিমের গুজব-গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছে। বলা হচ্ছে-যে বোতামেই টিপ দেন না কেন ভোট একটা নির্দিষ্ট প্রতীকেই পড়বে। দিনের শেষে যতো ভোটই পড়ুক যন্ত্রে গণনাটা হবে গুরুত্বপূর্ণ। সেই গণনা কিভাবে হবে সেটিও হবে দেখার বিষয়। আলোচনায় আছে আগের ভোটগুলোর মতো কেন্দ্রের বাইরে প্রভাবশালী প্রার্থীদের পক্ষে ‘জটলা কৌশল’। বলা হচ্ছে, ইভিএমের এক বোতামে টিপ দেয়ার পর ভোট হয়ে গেছে বলে ভোটের সুযোগটি নিতে পারে তৃতীয় কেউ।
Post Views:
১২৭
|
|