প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বরিশালে এক অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মেরে রক্তাক্ত’র অভিযোগ
Tuesday May 19, 2020 , 6:31 pm
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আহত মুক্তার বাবা বেল্লাল ও তার স্বামী মনির হোসেন
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বরিশালে এক অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মেরে রক্তাক্ত’র অভিযোগ
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল নগরীর কাউনিয়া থানাধিন মোহাম্মদপুর ৫নং ওয়ার্ডে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মেরে রক্তাক্ত করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বাহিনী। আহতের নাম মুক্তা আক্তার। সে ওই এলাকার খালেক মিয়ার ভাড়াটিয়া ও মনির হোসেনের স্ত্রী। বর্তমানে বরিশাল সে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতের পিতা বেল্লাল হাওলাদার জানান, সালেক মিয়ার অপর ভাড়াটিয়া চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের সাথে তার মেয়ে জামাই মনিরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার আগের দিন আলাউদ্দিনের পাশের ভাড়াটিয়া এমইপি’ৱ বেবি ও নিপা নামের দুই কর্মচারীর বিকল মোবাইল মেরামত করানোর জন্য দায়িত্ব দেয় বেল্লালের মেয়ে-জামাই মনিরের কাছে। মনির ৪শত টাকায় মোবাইল মেরামত করে এনে বেবি ও নিপাকে জানায়, মোবাইল সারাতে ৪শত টাকা খরচ হয়েছ। তারা চারশত টাকা মনিরের হাতে দিলে সে টাকা নিতে অপারগতা স্বীকার করেন। বিষয়টি নিয়ে আলাউদ্দিনের মনে সন্দেহ জাগে। ঘটনার দিন রবিবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৯ টায় আলাউদ্দিন ইচ্ছে করে তার ভ্যান গাড়ি দিয়ে বেল্লালের মুরগির ঘরে ধাক্কা মারে এতে তার মুরগির ঘর চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় তার মেয়ে মুক্তা বিষয়টি দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করে। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আলাউদ্দিনের সহযোগিতায় বেবি ও নিপা মুক্তার তলপেটে লাথি মেরে রক্তাক্ত করে। তার ডাক চিৎকারে তার বাবা বেল্লাল হাওলাদার ও স্বামী মনির সহ আত্মীয়-স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি আহতের বাবা বেল্লাল কাউনিয়া থানা পুলিশকে জানালে এসআই জসিম ঘটনাস্থলে যায়। এদিকে আলাউদ্দিন তার ভাই জালালউদ্দিনকে মোবাইল করে বিষয়টি জানায়। সংবাদ পেয়ে জালাল স্থানীয় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে বাসায় চলে আসে। এসআই জসিমের সম্মুখে, জসিম ও জালালের নেতৃত্বে আব্দুল হালিম, আব্দুল খালেক, বেবি ও নিপা সহ অজ্ঞাত আরো এক থেকে দেড়শ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বেল্লালের ঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘর ভাঙচুর, নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে কাউনিয়া মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আহত মুক্তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালেৱ গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে মনে করছেন ওই বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। এদিকে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আহত মুক্তার বাবা বেল্লাল ও তার স্বামী মনির হোসেন।