সম্প্রতি গুলি দিয়ে পাখি শিকার করায় বন বিভাগ থেকে মামলা করা হয়েছে
পটুয়াখালীতে বন্দি জীবন থেকে মুক্ত ১৮ পাখি
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাটী ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন বাড়ি এবং সংঘবদ্ধ পাখি শিকারিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা তিন প্রজাতির ১৮টি ঘুঘু মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শনিবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিসি বাংলো সড়কে খাঁচা থেকে পাখি অবমুক্ত করা হয়। পটুয়াখালী এনিমেল লাভার নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা বন বিভাগের সহযোগিতায় এসব পাখি উদ্ধার করেছিল। প্রাণী কল্যাণ সংগঠন পটুয়াখালী এনিমেল লাভার চেয়ারম্যান নওশিন আফরোজ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার খবর পাই সদর উপজেলার মধ্য ডেউখালী এলাকায় সুলতান ফকির নামে এক ব্যক্তি নিয়মিত ডাহুক ধরে তা বিক্রি করছেন। শুক্রবার তাকে সচেতন করতে আমরা সেখানে যাই। তার কাছে থাকা বেশকিছু ডাহুক অবমুক্ত করা হয়। ওই বাড়ি থেকে জানতে পারি ওই এলাকার অনেক মানুষ ঘুঘু শিকার করেন। পারিবারিকভাবে অনেক দিন পর্যন্ত তারা সেখানে ঘুঘু লালন পালন করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই এলাকার পাঁচটি বাড়ি থেকে মোট ১৮টি ঘুঘু উদ্ধার করা হয়। এ সময় ১৯টি পাখির খাঁচা জব্দ করা হয়।’ ঘুঘু ধরার কৌশল সম্পর্কে নওশিন আফরোজ বলেন, ‘ঘুঘুর ডানা কেটে দেয়া হয়। যার ফলে পাখিগুলো ওড়ার শক্তি হারিয়ে ফেলে। ফলে খাঁচার মধ্যে ঝাপটা ঝাপটি কমে যায়। ওই সব ডানা কাটা ঘুঘু দিয়ে ফাঁদ পাতেন ওই ব্যক্তিরা।’ পটুয়াখালী বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘জেলায় পাখি শিকারের প্রবণতা রয়েছে। সম্প্রতি গুলি দিয়ে পাখি শিকার করায় বন বিভাগ থেকে মামলা করা হয়েছে। পটুয়াখালী বন বিভাগ, পটুয়াখালী এনিমেল লাভার সংগঠনের কর্মীরা বিভিন্ন সময় কাজ করছে এবং তারা পাখি আটক করছে। যারা এ ধরনের অবৈধ কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ২০২০ সালের পাখি নীতিমালা অনুযায়ী দেশীয় পাখি লালন পালন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা আইনবহির্ভূত কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’