|
কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে আমরা ব্যানারগুলো খুলে ফেলবো-বিজ্ঞাপন শাখা, বিসিসি
নির্বাচনি ব্যানার-ফেস্টুনে ঢেকে গেছে বরিশাল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের ব্যানারে ছেয়ে গেছে বরিশাল নগরী। ব্যানার-ফেস্টুনে ঢাকা পড়েছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও। সোমবার (নভেম্বর ৩) সকালে নগরীর প্রাণকেন্দ্র বিবির পুকুর, অশ্বিনী কুমার টাউন হল ও চৌমাথা লেক ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডে দেখা যায়, বিবির পুকুরের উত্তর ও পশ্চিম পাশ বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের বড় বড় ব্যানারে ঢেকে রয়েছে। এসব দেখে রাস্তায় চলাচল করা পথচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা এগুলো অপসারণের জন্য সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

একই চিত্র দেখা গেছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা অশ্বিনী কুমার টাউন হলেও। রাস্তা দিয়ে তাকালে দেখার উপায় নেই গুরুত্বপূর্ণ এ স্থাপনাটি। টাউন হলের দিকে তাকালে ঠিক সামনেই চোখে পড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিশালাকার ব্যানার। প্রায় একই চিত্র নগরীর চৌমাথা লেক, জেলখানার মোড়, জিলা স্কুল মোড়, নাজিরের পুল, আমতলা, নথুল্লাবাদ, সাগরদী, রুপাতলীসহ বিভিন্ন স্থানে। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ারের ছবিসম্বলিত ব্যানার। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোয়াযযম হোসেন হেলাল, দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহিন, মহানগর বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনের ব্যানারও চোখে পড়ার মতো। তাদের সবাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানোর বিষয়ে ঈদ ও কুরবানির সময় সিটি কর্পোরেশনের নিষেধাজ্ঞা ছিল, তখন লাগানো হয়নি। এখন কোনো নিষেধাজ্ঞাও নেই, তাই অন্য দলের নেতাকর্মীরা যেহেতু ব্যানার লাগাচ্ছে সেজন্য আমাদের কর্মীরাও ব্যানার ও ফেস্টুন লাগাচ্ছে। মূলত রাজনৈতিক সহাবস্থান বজায় রাখতেই এই ব্যানার ফেস্টুন লাগানো। নগরীর সৌন্দর্য রক্ষায় সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহিন বলেন, যত্রতত্র পোস্টারিংয়ের বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমাকে অনেকেই সদর রোডে ব্যানার করতে বলেছিলেন, কিন্তু আমি করেছি জিলা স্কুল মোড়ে। আসলে আমাদের বিবেক খাটিয়ে কাজ করতে হবে। যাতে নগরীর সৌন্দর্য বজায় থাকে।’ তিনি আরও বলেন, যারা এ ব্যানারগুলো নেতাদের ছবি দিয়ে সাঁটাচ্ছে দেখা যাবে তাদের কোনো পদপদবি নেই। কোনো আন্দোলন সংগ্রামেও ছিলেন না। কেবল নিজেকে জাহির করার জন্য একশ্রেণির নেতাকর্মী এসব করছেন। দল থেকে নির্দেশনা না থাকায় এ ব্যাপারে কিছু করা যাচ্ছে না। মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, জাতীয় নির্বাচনের খবরে প্রার্থীরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ফুটিয়ে তুলতে ব্যানার সাঁটাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ নিজের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি করতে এমনটি করছেন। এগুলো রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) বিজ্ঞাপন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত মাহবুবুর রহমান বদল বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক ব্যানার সাঁটানোর অনুমতি দেইনি। আর নেতাকর্মীরাও কোনো অনুমতি না নিয়ে এগুলো যে যার ইচ্ছা মতো সাঁটাচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে আমরা ব্যানারগুলো খুলে ফেলবো।’
Post Views: ০
|
|