প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » ধর্ষণ শেষে মুক্তিপণ না পেয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে হত্যা করে চাচাতো ভাই
Thursday February 8, 2024 , 10:19 pm
বরগুনার আমতলীতে আলোচিত তানজিলা হত্যারহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ
ধর্ষণ শেষে মুক্তিপণ না পেয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে হত্যা করে চাচাতো ভাই
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরগুনার আমতলীতে আলোচিত তানজিলা হত্যারহস্য পুলিশ উদঘাটন করেছে। অপহরণকারী চাচাতো ভাই হৃদয় খানের মুক্তিপণ দাবি করা মোবাইলের সূত্র ধরেই এ রহস্য উদঘাটন করা হয়। অপহরণকারী হৃদয় খান ও জাহিদুল খান মাদ্রাসাছাত্রী তানজিলাকে অপহরণ শেষে ধর্ষণ করে। পরে তানজিলার বাবার কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ওই দাবিকৃত টাকা না পেয়েই অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করেছে। আসামি হৃদয় খান ও জাহিদুল খান পুলিশের কাছে এ হত্যারহস্য স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে আমতলী থানায় হৃদয় খান, জাহিদুল খানসহ অজ্ঞাত ৩ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ঘাতকদের কঠোর শাস্তি দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার পুঁজাখোলা গ্রামের তোফাজ্জেল খানের মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা তানজিলাকে সোমবার সকালে বাড়ির সামনে থেকে চাচাতো ভাই হৃদয় খান ও জাহিদুল খান অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে একটি বাড়িতে রেখে তারা তানজিলাকে ধর্ষণ করে। ওই রাতেই তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খানের কাছে হৃদয় খান তার মোবাইল থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বাবা তোফাজ্জেল খান মুক্তিপণ দিতে বিলম্ব করে। পরে তারা তানজিলাকে হাত-পা বেঁধে গলায় স্কার্ফ পেঁচিয়ে হত্যা করে। তানজিলার মরদেহ পুঁজাখোলা খালের চরে হোগলপাতার খেতে কাদামাটির মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খান আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ হৃদয় খানকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে অপহরণের দুই দিন পরে তানজিলার বাড়ির সামনে খালের চরে হোগলপাতার খেতের মধ্য থেকে বুধবার দুপুরে তার হাত-পা বাঁধা গলায় স্কার্ফ পেঁচানো মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খান বাদী হয়ে ঘাতক হৃদয় খান এবং জাহিদুল খানসহ আরও অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ গ্রেফতারকৃত দুই আসামিকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মো: আরিফুর রহমানের কাছে আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে ওই দিন বিকালে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিকে আসামি হৃদয় খান ও জাহিদুলের কঠোর শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, অপহরণকারী হৃদয় ও জাহিদুলের পায়ে পড়ে আমার মেয়ের জীবন ভিক্ষা চেয়েছি; কিন্তু ওরা আমার মেয়েকে বাঁচতে দিল না। আমার মেয়েকে নির্মম নির্যাতন শেষে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনায় ওদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হৃদয় ও জাহিদুল ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।