Current Bangladesh Time
সোমবার এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ৪:১১ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » ডাচ্-বাংলার টাকা ছিনতাই : আরো ৫৮ লাখ টাকা উদ্ধার, মূল মাস্টারমাইন্ড গ্রেপ্তার 
Wednesday March 15, 2023 , 8:39 am
Print this E-mail this

ছিনতাই হওয়া সোয়া ১১ কোটি টাকার মধ্যে তিন দফায় ৭ কোটি এক লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার

ডাচ্-বাংলার টাকা ছিনতাই : আরো ৫৮ লাখ টাকা উদ্ধার, মূল মাস্টারমাইন্ড গ্রেপ্তার


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর উত্তরায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত মাস্টারমাইন্ড আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ৫৮ লাখ ৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (মার্চ ১৪) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এর আগে শনিবার (মার্চ ১১) দুই কোটি ৫৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। ছিনতাই হওয়া সোয়া ১১ কোটি টাকার মধ্যে তিন দফায় ৭ কোটি এক লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার হলো। ঘটনার দিন (মার্চ ৯) রাতে মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসের বাদী হয়ে ডিএমপির তুরাগ থানায় মামলা করেন। সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ৯ মার্চ সকাল ৭টার পরে রাজধানীর উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে বেসরকারি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাই হয়। দিনের আলোতে প্রকাশ্যে রাস্তা থেকে নজিরবিহীন এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মাঠপর্যায়ে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া টাকাভর্তি চার বক্সের মধ্যে তিনটি উদ্ধারের কথা জানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসসহ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় সাতজনকে।

ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, লুট করা টাকায় ছিনতাইকারীরা কেউ খুলনায় গাড়ি কিনেছে, কেউ গোপালগঞ্জ এলাকায় কিছু টাকা ধারও দিয়েছে। এছাড়া ছিনতাইয়ে অংশ নেওয়ারা দেশের বিভিন্ন জেলার। তাই জড়িতদের গ্রেপ্তার ও লুট হওয়া টাকা উদ্ধারে কিছুটা সময় লাগছে।তিনি জানান, সোমবার ১৩ মার্চ রাজধানীর কড়াইল বস্তির বউবাজার এলাকা থেকে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকেকে ৪৮ লাখ ৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নেত্রকোনা থেকে মিলন নামে আরেকজনকে ১০ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।সর্বশেষ মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে খুলনা থেকে আনা হয়েছিল, কিন্তু সে-ই আকাশ এটি কিছুক্ষণ আগেই আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি। ডাচ-বাংলার সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের মূল মাস্টারমাইন্ড আকাশ ও সোহেল রানা নামে দুইজন। এরমধ্যে ঘটনার দিন ছিনতাই শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় আকাশ গাড়িতে উঠতে পারেনি। সিসিটিভি ফুটেজে তাকে দৌড়াতে দেখা গেছে। পরে তাকে খুলনা থেকে আমরা নিয়ে এসেছি, সে-ই যে আকাশ এটি আমরা কিছুক্ষণ আগেই নিশ্চিত হয়েছি। ডিবি প্রধান বলেন, ঘটনার দিন তারা বিভিন্ন গ্রুপে দায়িত্বে ছিল। কেউ পরিকরিকল্পনায়, কেউ সিম ও মোবাইল সংগ্রহ করা আর কেউ শুধু ভাড়ায় ‌‘কামলা’ হিসেবে ছিনতাইয়ে অংশ নেয়। তবে ছিনতাইয়ের মূল কাজে ছিলেন ৪-৫ জন।আকাশ ও সোহেল রানা নামে দু’জন এই ছিনতাইয়ের মূল ছক সাজায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আকাশ তার পূর্ব পরিচিত ইমনের কাছে টাকা লুটের বিষয়টি জানায় এবং তাকে এই কাজে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেয়। তাকে তারা জনবল সংগ্রহের দায়িত্ব দেয়। ইমন মিলন তার পূর্ব পরিচিত সানোয়ার হোসেনকে বিষয়টি অবগত করে এবং জনবল, সিম সংগ্রহ ও মোবাইল ফোন কেনার দায়িত্ব দেয়। সানোয়ার ৮টি নতুন সিম এবং মোবাইল যোগাড় করে এবং সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা থেকে মোট ৯ জন সদস্য সংগ্রহ করে। তারা প্রত্যেকেই ঘটনার দু’দিন আগে ঢাকায় একত্রিত হয়। পরিকল্পনাকারীরা তাদেরকে ঢাকায় এনে নতুন কাপড় ও জুতা কিনে দেয়। ডিবি প্রধান হারুন বলেন, সোহেল রানা আগে টাকা বহনকারী প্রতিষ্ঠান মানিপ্ল্যান্ট লিংক লিমিটেডের চালক ছিল। এ কারণে সে প্রতিষ্ঠাটির খুটিনাটি বিষয় সম্পর্কে অবগত ছিল। ফলে কোনো বাধা ছাড়াই তারা মাইক্রোবাসটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। নকল চাবি দিয়ে টাকা বহনকরা মাইক্রোবাসটি কোনো বাধা ছাড়াই খুলে ফেলে। মূল হোতা আকাশ টাকা লুটের পর মাইক্রোবাসে উঠতে না পারলেও সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আকাশ ও সোহেল রানা বাকিদের অর্থাৎ ইমন ও সানোয়ারের কাছেও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকা লুটের বিষয়টি গোপন রাখে। তারা জানায় ৬০-৭০ লাখের মতো কিছু অবৈধ হুন্ডির টাকা লুট করবে এবং সেখানে প্রশাসনের লোকও থাকবে। ঘটনার দিন সবাই কুর্মিটোলায় একত্রিত হয়ে মাইক্রোবাসে ওঠার পর বুঝতে পারে বড় কিছু ঘটতে যাচ্ছে। হারুন বলেন, ডাকাতির পর মূল হোতা আকাশ মাইক্রোবাসে উঠতে না পারায় বাকিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ধারণা করে, আকাশ ধরা পড়ে গেছে। এই ভয়ে গাড়িতে থাকা বাকিরা মোবাইল ফোনগুলো ৩০০ ফিট সড়কের পাশে পানিতে ফেলে দেয়। এরপর ট্র্যাঙ্ক ভেঙে টাকা লুট করতে তাড়াহুড়ো করে। পরে তারা ৩০০ ফিটের একটি নির্জন জায়গায় গিয়ে ব্যাগ এবং বস্তায় করে যার যার মতো টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ছিনতাইয়ে অংশ নেওয়াদের সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল থেকে আনা হয়। ডাকাতির পর তারা টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে যার যার মত বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে যায় এবং বেশ কিছু টাকা বিভিন্ন খাতে খরচও করে। ডিবি প্রধান বলেন, সোহেলকে গ্রেপ্তার করা গেলে বাকি টাকার বিষয়ে বা আরও কেউ জড়িত আছে কি-না জানা যাবে। সোহেল আমাদের জালে রয়েছে, আশা করছি শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করতে পারব। তিনি জানান, ডিবির এখনো তিনটি টিম বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। টাকা বহনকারী প্রতিষ্ঠান মানি প্লান্টের কেউ জড়িত আছে কি-না আমাদের তদন্তে অবশ্যই আসবে। কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করেই ১১ কোটি টাকা গাড়িতে দিয়ে দিলেন। বিনা বাধায় গাড়ির দরজা খুলে টাকার ট্রাঙ্কগুলো নিয়ে চলে গেলেন। পরে তদন্তে সবগুলো বিষয় উঠে আসবে। এখন আমাদের মূল কাজ ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও টাকা উদ্ধার।




Archives
Image
পিরোজপুরের কাউখালীতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: চান মিয়ার শেষ বিদায়
Image
বরিশালে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় কথিত যুবলীগ নেতা মাসুদ গ্রেফতার
Image
২৪ বছর পর কারামুক্ত ওলিউলকে বাঁচার স্বপ্ন দেখালেন বরিশাল জেলা প্রশাসক
Image
আবারও ক্যান্সারে মৃত্যু, বড়সড় জরিমানার মুখে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’
Image
অকালেই নিভে গেল শিশু সামিয়ার জীবন প্রদীপ