করোনার এই সময়ে গ্রেট ডিপ্রেশন নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন জুয়েল আইচ
জুয়েল আইচের ফুসফুস ৪০ ভাগ সংক্রমিত
মুক্তখবর বিনোদন ডেস্ক : করোনায় নন্দিত জাদুশিল্পী জুয়েল আইচের ফুসফুস ৪০ ভাগের মতো সংক্রমিত হয়েছে। বুকের সিটি স্ক্যান প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এমনটাই জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

কর্তব্যরত চিকিৎসক বললেন, গতকালের চেয়ে অবস্থা কিছুটা ভালো মনে হচ্ছে। অক্সিজেন খুব বেশি দরকার পড়ছে না। খাওয়াদাওয়া নিয়ে তার যে সমস্যা ছিল, তা আজ কম বলে মনে হচ্ছে। জুয়েল আইচ সপরিবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্ত্রী ও মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেও জুয়েল আইচকে ভর্তি হতে হয় হাসপাতালে। রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন তিনি।

৪ নভেম্বর থেকে জ্বরে আক্রান্ত হন জুয়েল আইচ। শুরুতে গুরুত্ব না দিলেও পরে জ্বরের মাত্রা বাড়তে থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি কোভিড-১৯ পরীক্ষা করান, পরীক্ষার ফল হাতে পেয়ে জানতে পারেন, তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু সন্তোষজনক সেবা না পাওয়ায় হাসপাতাল বদলাতে বাধ্য হয় তার পরিবার। জুয়েল আইচের জ্বর, কাশি এখনো রয়েছে। শ্বাসকষ্ট না থাকলেও অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। করোনা ছাড়াও জুয়েল আইচ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় জুয়েল আইচকে সোমবার রাতেই হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ওই হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় আমরা মোটেও সন্তুষ্ট না পারায় সেখান থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তাকে নেয়া হয়। সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেন। ১০ মিনিটের মধ্যে জুয়েল আইচ’র ভর্তির পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

করোনাকালে বই পড়ে সময় কাটাচ্ছিলেন জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ। এই শিল্পী মনে করেন, জীবন এক অমূল্য সম্পদ। কিন্তু বাঁচার সময়টা সংক্ষিপ্ত। জীবনের শুরু ও শেষ অংশে সবাই দর্শক। মাঝের অল্প সময় মানুষ কাজ করতে পারে। জানিয়েছিলেন, করোনার এই সময়ে গ্রেট ডিপ্রেশন নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব বেশি দূর তাকাই না। কিছু দূর তাকানোর পর বলি, আর দেখা যাচ্ছে না। আপনি যদি ২০ তলা ভবনের ওপর উঠে তাকান, তাহলে অনেক দূর দেখতে পাবেন। এটা আমার উপলব্ধি। আমি এ জন্যই গ্রেট ডিপ্রেশন নিয়ে এখন পড়াশোনা করছি। এই যে এত কিছু হচ্ছে, এর সমাপ্তি তো হবে। আমার জীবদ্দশায় হবে কিংবা আমি মারা যাওয়ার পরে হবে।’
Post Views: ০
|