|
প্রস্তুতিতে যদি গ্যা্প থাকে আপনাদের (গণমাধ্যম) কাছ থেকে এনলাইটেড হবো
ক্রান্তিলগ্নে দায়িত্ব নিয়েছি, ভালো নির্বাচন ছাড়া উপায় নেই : সিইসি
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা একটা ক্রান্তিলগ্নে দায়িত্ব নিয়েছি। আগামী নির্বাচন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের শেপ ঠিক করবে।এজন্য সবাই মিলে এই নির্বাচন করতে হবে। ইসির একার পক্ষে সামাল দেওয়ার সম্ভব হবে না। সোমবার (৬ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিইসি বলেন, আমাদের ভার নির্বাচন সংস্কার কমিশন গ্রহণ করে নিয়েছে। তারা আলাপ আলোচনা করে আমাদের কাজ সহজ করে দিয়েছে। এটা আমাদের আলোচনার খাতিরে আলোচনা নয়। আমরা এটাকে মিনিংফুল হিসেবে দেখতে চাই। আমাদের প্রস্তুতিতে যদি গ্যা্প থাকে আপনাদের (গণমাধ্যম) কাছ থেকে এনলাইটেড হবো। আপনাদের সঙ্গে থেকে দেশকে এ ক্রান্তিলগ্ন থেকে এগিয়ে যেতে চাই। এই নির্বাচন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের শেপ ঠিক করবে। জাতি হিসেবে এ নির্বাচন ভালো হওয়ার ছাড়া উপায় নেই। সুতরাং সবাই মিলে এ নির্বাচন করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন, জাতীয়ভাবেই করতে হবে। ইসির একার পক্ষে সামাল দেওয়ার সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব নিয়েছি। রাজনৈতিক দগুলোর মধ্যে নানা আলোচনা বিতর্ক চলেছে। কিন্তু আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে যেন তেন নির্বাচন দিলে চলবে না। আমরা সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলাম। ভোটার তালিকা হালনাগাদে সাড়ে ২১ লাখ মৃত ভোটার চিহ্নিত করেছি। এদের নামে ভোট দেওয়া হতো। এগুলো আমরা বাতিল করেছি। প্রায় ৪৫ লাখের মতো ভোটার হওয়ার যোগ্য ছিল। তাদের আমরা তাদের যুক্ত করেছি। নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল কম। পুরুষের তুলনায় প্রায় ৩০ লাখ কম ছিল। মানুষ তো ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছিল। সুতরাং আমরা আমাদের ভোটার তালিকা কার্যক্রমে সচেতনা বৃদ্ধিতে নারীরা দলে দলে এসে নিবন্ধন করেছেন। এটা আমাদের সচেতন সিদ্ধান্ত ছিল। তিনি বলেন, আমরা এবার নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া ভোটের দায়িত্বে যারা থাকেন, তারা ভোট দিতে পারেন না, এসপি, রিটার্নিং কর্মকর্তারা তারা ভোট দিতে পারেন না। কাজেই তারা যাতে ভোট দিতে পারেন আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি। তাদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। সিইসি বলেন, আমরা ক্রিটিকাল সময়ে দায়িত্ব নিয়েছি। এর মধ্যেই আমরা পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করছি। এটা যদিও আগে ছিল। কাজীর গরু কিতাবে ছিল না, তেমন ছিল। আমরা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রবাসী ভাইয়েরা বলেছেন, আমরা ভোট দিতে চাই। অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্বেও বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় মোটামুটি একটা পদ্ধতি বের করেছি। ডিজিটালের পাশপাশি। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার পর পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন। অনেকটা সংকর পদ্ধতি। আমরা আপনাদের পাশে পেতে চাই। এগুলো প্রচার করবেন। তিনি আরও বলেন, যত চেষ্টাই আমরা করি না কেন, মিডিয়া, জনগণ ও দলগুলো মেটার করে। মিডিয়ার দরকার মতামত গঠনের ক্ষেত্রে, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টিতে। আমরা চাই ফেস্টিভ মুডে যেন নির্বাচন হয়। এটা জাতীয় নির্বাচন। সবার দায়িত্ব। ভোটারদের আগ্রহ করতে হবে। এজন্য সচতেনতা সৃষ্টি করতে হবে। তারা যেন ভোটকেন্দ্রে আসেন, ভোটটা যেন দেন। আমরা মোটামুটি চেষ্টা করবো আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী সুষ্ঠু অবাধ পরিবেশ তৈরির। ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
Post Views: ০
|
|