|
পুলিশের কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
এসআই লাকীর মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশে চাকরি নেয়ার অভিযোগ
পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পদে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাকরি নিয়েছেন সুমাইয়া বেগম লাকী। বাবার মৃত্যুর পর সার্টিফিকেট বের করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ও চাচার ভাড়া বাসার ঠিকানা দিয়ে চাকরি নেন তিনি। উপপরিদর্শক সুমাইয়া বেগম লাকী রাজশাহী মেট্রো পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) কর্মরত ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন। লাকীর বিপি নম্বর-৮৪১৪১৭২৭৩৯। ২০১৩ সালে উপপুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) পদে তিনি চাকরিতে যোগ দেন। সুমাইয়া বেগম লাকীর বাবা মৃত আব্দুস সোবহান মোল্লা। তার স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম-ঘোপশিলেন্দা, ডাকঘর-খানপুরা বাজার, উপজেলা-বেড়া, জেলা পাবনা। কিন্তু চাকরির আবেদনে তিনি বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ৫২/সি বাড্ডানগর লেন, ডাকঘর-নিউমার্কেট, থানা-হাজারীবাগ, ঢাকা-১২০৫। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ঠিকানায় তার বড় চাচা মৃত রফিকুল ইসলাম মোল্লা এক সময় ভাড়া থাকতেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার পরিবার ওই বাসা ছেড়ে চলে যায়। সুমাইয়া বেগম লাকী ঢাকা জেলার মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেন। বেসামরিক গেজেট ২০১২ সালের ৬ মার্চ গেজেট নম্বর-২১২৪ মতে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রকাশিত হয়। তার বাবার নামে ইস্যুকৃত মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট চলতি বছরের ২৪ আগস্ট বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সুমাইয়া বেগম লাকীর বাবা ২০০২ সালে মারা যান। কিন্তু বেসামরিক গেজেট ২০১২ সালের ৬ মার্চ গেজেট নম্বর-২১২৪ মূলে সুমাইয়া বেগম লাকি তার মৃত বাবাকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে গেজেট প্রকাশ করিয়েছিলেন। ফলে বাংলাদেশ পুলিশে তিনি অনৈতিকভাবে চাকরি নিয়েছেন। এ ব্যাপারে সুমাইয়া বেগম লাকীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। বাংলাদেশ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (মিডিয়া) মো: হায়দার আলী খান বলেন, পুলিশের কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তিনি যে অনিয়মটা করেছেন সেই অভিযোগটা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আসতে হবে। তার অনিয়মের বিষয়টি আমাদের নজরে এলে আমরা অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
Post Views:
৮৮
|
|