|
প্রকাশ্যে এমন অবৈধ কাজ, দীর্ঘদিনেও প্রশাসনের অভিযান দেখেনি স্থানীয়রা
অবৈধ প্লাস্টিক বর্জ্যের কারখানায় মারাত্মক ঝুঁকিতে বরিশাল নগরী!
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল নগরীর পলাশপুরে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অবৈধ প্লাস্টিক বর্জ্যের কারখানা। আর এতে হুমকির মুখে রয়েছে পরিবেশ। জানা যায়, পলাশপুরের প্রধান সড়কের ১নাম্বরর গলির বিপরীতে অবৈধ প্লাস্টিক বর্জ্যের কারখানা গড়েছে। যার আশেপাশের মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। স্থানীয় একটি ক্যাডার বাহিনীর কারণে কেউ এই কারখানার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। নগরীর মধ্যে প্রকাশ্যে এমন অবৈধ কাজ করে থাকলেও দীর্ঘদিনেও প্রশাসনের অভিযান দেখেনি স্থানীয়রা। অন্যদিকে পলাশপুরের দারুন নাযাত হাফিজি ও কওমি মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে একই মালিকের অবৈধ প্লাস্টিক বর্জ্যের কারখানা গড়ে ওঠায় স্থানীয় পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে । এর কারনে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইক্লিং উক্ত এলাকাটি। এসব দূষণের মধ্যে প্লাস্টিক ও ড্রাগযুক্ত ইনজেকশনের সামগ্রীও রয়েছে যার আঘাতে মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেতে পারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর ইনজেকশনের ব্যবহারিত ব্লাড যুক্ত বিভিন্ন সুই যা ধোঁয়ার ব্যবহারিত পানি ফেলা হয় খালে। প্লাস্টিক বর্জ্য দূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে উক্ত এলাকার শিশুরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে বিষয়টি দেখতে গেলে অবৈধ প্লাস্টিক বর্জ্যের রিসাইক্লিং কারখানার মালিক জহির ক্ষিপ্ত হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মাইনুলের জমি ভাড়া নিয়ে তিনি ব্যবসা পরিচলনা করছেন, এতে কার কি আসে যায় বলেও জানান তিনি। এদিকে উক্ত অবৈধ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের পাশে গড়ে উঠা একটি মাদ্রাসার মোহতামিম বলেন, আমার মাদ্রাসার সামনে ছাত্রদের খেলার মাঠটি দখল করে তারা এই অবৈধ ব্যাবসা করতেছে আমি এখানে অসহায়। গবেষণায় স্পষ্ট যে, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বাচ্চাদের মলে প্রায় দশগুণ বেশি মাইক্রো প্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে বর্তমানে। তার মানে তাদের শরীরেও ব্যাপক হারে প্রবেশ ঘটছে এই বিষাক্ত বস্তুর। পরিবেশবিদ ও সচেতনমহলের মতে,বর্জ্য প্লাস্টিক রিসাইক্লিং এর কারখানা গণবসতি এলাকা থেকে এখনই বন্ধ বা না সরালে ২০২৫ সালে এই প্লাস্টিক বর্জ্য দুষণ বেড়ে যাবে প্রায় দ্বিগুণ। তখন মনুষ্য শরীরে এই ‘প্লাস্টিক’রূপী ভাইরাসের দাপট প্রতিরোধ কঠিন হয়ে পড়বে। প্রাথমিক পর্যায় থেকে যেমন প্লাস্টিকের বর্জ্য কারখানা গণবসতি এলাকা থেকে দূরূত সরানো প্রয়োজন, তেমনি পরিবেশ অধিদপ্তরের এবং সিটি করর্পোরেশনের হস্তক্ষেপ জরুরি মনে করেন এলাকাবাসি। এবিষয়ে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, অবৈধভাবে গড়ে উঠা পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া কারখানার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে, আমরা উক্ত প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সূত্র : বিডি ক্রাইম
Post Views: ০
|
|