|
অবশেষে ক্ষমা চাইলেন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগকারী সে-ই ছাত্রী
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষক ড. শিমুল সাহাকে অভিভাবকদের চড়-থাপ্পড় মারার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন ওই ছাত্রী ও তার বাবা। আলোচিত ওই ঘটনাকে এখন ভুল বোঝাবুঝি বলা হচ্ছে। যশোর পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলামের দপ্তরে গিয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন তারা। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো: আনিসুর রহমান রোববার বলেন, শনিবার বিষয়টি জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তার অফিসে বসে মীমাংসা হয়ে গেছে। ওই ছাত্রীর ‘মাথায় কিছুটা সমস্যা’ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে এলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে যবিপ্রবির একটি বাস যশোর শহরের পালবাড়ী মোড়ে পৌঁছলে কিছু শিক্ষার্থী নেমে যান। এ সময় তিন যুবক বাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. শিমুলকে নামিয়ে চড়-থাপ্পড় দেন। তাদের অভিযোগ ছিল, ড. শিমুল বাসের মধ্যে তাদের বোনকে যৌন হয়রানি করেছেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা তাদের নিবৃত্ত করেন। পরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাস নিয়ে ক্যাম্পাসে চলে যান। শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় দেওয়ার ওই ঘটনায় শিক্ষকদের পক্ষ থেকে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করা হয়। যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলামের মধ্যস্থতায় সুষ্ঠু সমাধান হয়েছে। একটি সামান্য ঘটনা নিয়ে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তার অবসান হয়েছে। এ ঘটনার জন্য অভিযোগকারী শিক্ষার্থী ও তার বাবা ‘সরি’ বলেছেন এবং শিক্ষক শিমুল সাহা ক্ষমা করে দিয়েছেন। এমন একটি লিখিত মীমাংসাপত্র তার কাছে শনিবার পৌঁছেছে বলে জানান তিনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ওই ছাত্রী ও তার বাবা লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। তারা ঘটনাকে ভুল বোঝাবুঝি দাবি করেছেন। শিক্ষককে লাঞ্ছনাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষককে মারধর নয়, ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। যেহেতু মীমাংসা হয়েছে, সে কারণে আর কিছু হচ্ছে না।
Post Views:
১১০
|
|