|
যাত্রীদের বেশির ভাগই মহালয়ার পুণ্যার্থী ছিলেন
অতিরিক্ত যাত্রী ওঠায় নৌকাডুবি : ডিসি
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পঞ্চগড়ের বোদার করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবে প্রাণহানির পেছনে অতিরিক্ত যাত্রী বহনকে দায়ী করেছেন জেলা প্রশাসন (ডিসি)। এ ঘটনায় রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত ২৫ জনের মারা যাওয়ার খবর জানিয়েছেন ডিসি জহুরুল ইসলাম। তিনি জানান, যাত্রীদের বেশির ভাগই মহালয়ার পুণ্যার্থী ছিলেন। তারা দুপুরে বোদার মারেয়া ইউনিয়নের করতোয়া নদীর আউলিয়ার ঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে বদ্বেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। ঘটনাস্থলে মারওয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পুলিশ ছিল। তারা সবাই ওই নৌকায় এত লোক উঠতে নিষেধ করেছিলেন। ‘গতকাল বৃষ্টি হওয়ার কারণে নদীতে পানি বেশি ছিল, স্রোতও বেশি ছিল। নিষেধ করতে করতে সবাই উঠে যায়। যেহেতু ধর্মীয় বিষয় সবাই উঠতে চাইছিলেন। এরপর মাঝনদীতে গিয়ে ডুবে যায় নৌকাটি।’ জহুরুল জানান, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা মিলে ২৪ জনের লাশ উদ্ধার করে। মৃতদের মধ্যে আছেন ১২ নারী, ৮ শিশু ও ৪ জন পুরুষ। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে ১৬ জন ও হাসপাতালে মারা গেছেন ৮ জন। এখনও অনেকে নিখোঁজ আছেন। অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় রোববার রাতে উদ্ধারকাজ বন্ধ করেছে ফায়ার সার্ভিস। সংস্থাটি জানিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে ফের নদীতে চলবে তল্লাশি। এই দুর্ঘটনা তদন্তে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথৈ আদিত্যকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিসি। সবগুলো মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, সৎকারের জন্য পরিবারগুলোকে দেয়া হয়েছে ২০ হাজার করে টাকা।নৌকাডুবিতে হতাহতের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য জরুরি তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে ৬ নম্বর মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে। সেখানে দায়িত্বে থাকা স্থানীয় ভূমি অফিসের অফিস সহকারী জাকির হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত ৪০ জন নিখোঁজ বলে জানা গেছে। স্বজনরা তাদের সন্ধানে এসে তথ্য দিয়েছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চগড় জেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় ২৪ জনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
Post Views:
১০৬
|
|