বরিশালে ইয়াবা খাইয়ে ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় চার্জশীট প্রদান
ইয়াবা খাইয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বন্ধুকে দিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর মামলায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার আদালতে চার্জশীট জমা দেয়া হয়েছে।ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের।আদালতে জমা দেয়া অভিযোগপত্রের বরাত দিয়ে চাঞ্চল্যকর ওই মামলার থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ শাহজাহান মিয়া জানান,দীর্ঘ তদন্ত,গ্রেফতারকৃতদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী ও স্বাক্ষ্যপ্রমানে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় চাঞ্চল্যকর ওই মামলায় তিনি পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট জমা দিয়েছেন।এছাড়া অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় একজনকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। সূত্রমতে,তদন্ত ও স্বাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে গৌরনদী উপজেলার বড় কসবা গ্রামের কুদ্দুস ফকিরের পুত্র কাওসার ফকির ঘটনার দিন ২৯ জুলাই রাতে উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের দ্বীজেন জয়ধরের পুত্র দীপক জয়ধরের বসত ঘরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।অভিযুক্ত আসামিরা মাদক ব্যবসা ও সেবনের সাথে জড়িত।ওই রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গৃহকর্তা দীপকের স্ত্রী কচি রানী মোবাইল ফোনে পাশ্ববর্তী বাড়ির এক স্কুল ছাত্রীকে তাদের ঘরে ডেকে এনে কৌশলে ইয়াবা সেবন করায়।এসময় ওইঘরে দীপক,তার স্ত্রী কচি রানী,টরকী বন্দরের সেলুন ব্যবসায়ী দীপকের বন্ধু বাহাদুরপুর গ্রামের তাপস শীল,গৌরনদীর বড় কসবা গ্রামের কুদ্দুস ফকিরের পুত্র কাওসার ফকির, নন্দনপট্টি গ্রামের শফি মৃধার পুত্র সেন্টু মৃধা উপস্থিত ছিলো।পরবর্তীতে বড় কসবা গ্রামের কাওসার ফকির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।জ্ঞান ফিরলে ধর্ষিতা ছাত্রীর ডাকচিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে গৃহকর্তা দীপক,তার মা পুস্প জয়ধর,স্ত্রী কচি জয়ধরকে আটক করে পুলিশের হাতে সোর্পদ করলেও অভিযুক্ত কাওসার ও সেন্টু পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।ঘটনার পরেরদিন ৩০ জুলাই ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে (যার নং-১১ (৩০/৭/১৭)। অভিযুক্ত কাওসার ও সেন্টু মৃধা পলাতক রয়েছে।অন্যান্য আসামিরা গ্রেফতার হয়ে আদালতের মাধ্যমে জামিনে রয়েছে।প্রাথমিকভাবে আটক দীপকের মা পুষ্প জয়ধরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী বাহাদুপুর গ্রামের তার মামা বাড়িতে থেকে বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেনীতে লেখাপড়া করছিলো।তার বাড়ী পাশ্ববর্তী কোটালীপাড়া উপজেলার জহরেরকান্দি গ্রামে।