|
আটক ইমাম ও ফেরদাউস অস্ত্র, দস্যুতা ও প্রতারণাসহ বিভিন্ন মামলার আসামী
র্যাবের সফল অভিযানে রুবেল হত্যার রহস্য উদঘাটন, দুই হত্যাকারী গ্রেপ্তার
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল নগরীর প্রাইভেটকার চালক রুবেল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল হোতাসহ দুই হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। বৃহস্পতিবার এক প্রেসব্রিফিং এর মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ১৬ অক্টোবর গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর উপজেলার উজানী সড়কের ভাঙ্গির মোড় থেকে স্কচ টেপ দিয়ে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় রুবেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রুবেল খান (৩২) বরিশাল নগরীর দক্ষিন সাগরদী এলাকার হালিম খানের ছেলে। রুবেল হত্যায় জড়িত মূল হোতা হলো খুলনার তেরখাদা এলাকার হুসাইন ইমাম (৩০) ও গোপালগঞ্জ সদরের এসএম ফেরদাউস (৩৭)। প্রেসবিফ্রিং এর মাধ্যমে র্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত ইমাম ও ফেরদাউস প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে। এছাড়াও হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে। তাদের বরাতে র্যাব জানায়, ইমাম ও ফেরদাউস অস্ত্র, দস্যুতা ও প্রতারণাসহ বিভিন্ন মামলার আসামী। জেলখানায় তাদের পরিচয় হয়। গত অক্টোবরে ঘটনার কয়েকদিন পূর্বে গাজীপুরে একত্রিত হয় এবং একটি হোটেলে চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে। গত ১৫ অক্টোবর তারা কুয়াকাটায় যায়। পথিমধ্যে চেতনানাশক ঔষধসহ একটি সিরিঞ্জ ক্রয় করে। কুয়াকাটায় ভ্রমন শেষে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে নতুন ও দামী প্রাইভেট কারের সন্ধান শুরু করে। তারা রুবেল খানের নতুন এক্সজিও ব্রান্ডের প্রাইভেট কার দেখে তাকে ভাড়া করে। গত ১৬ অক্টোবর কুয়াকাটা থেকে গোপালগঞ্জ জেলার ভাটিয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পথিমধ্যে চালক রুবেলে সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপের মাধ্যমে প্রাইভেট কারের মালিক ও ব্যবহৃত ট্রাকিং ডিভাইসের তথ্য সংগ্রহ করে। প্রাইভেট কার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী পৌঁছলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রুবেলের সাথে বিবাদে জড়িয়ে কৌশলে তার দেহে চেতনানাশক ঔষধ প্রয়োগ করে। এরপর চালক দুর্বল হয়ে পড়লে মারধর করে হাত-পা স্কসটেপ দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং মুখমন্ডলে স্কসটেপ পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরের নির্জন এলাকায় লাশটি ফেলে প্রাইভেটকার নিয়ে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। র্যাব জানায়, চক্রটি দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমনের উদ্দেশ্যে যায় এবং ফিরে আসার সময় গাড়ী ভাড়া করে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যায়। এরপর গাড়ীর চালককে মারধরসহ হত্যা করে গাড়ী ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং অন্যত্র বিক্রয় করে বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করে। র্যাব আরো জানায়, এমনি একটি ক্লুলেস ও লোমহর্ষক রুবেল হত্যাকান্ডের ঘটনায় মোকসেদপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার পর থেকেই র্যাব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও ছায়া তদন্ত করে। র্যাবের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ২ নভেম্বর গাজীপুর থেকে ঘটনার মূলহোতা হুসাইন ইমামসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Post Views:
১১৫
|
|