Current Bangladesh Time
বুধবার মে ১৫, ২০২৪ ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশাল কারাগারে বসেই মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে মাদক সম্রাট শাকিল খান সেন্টু! 
Monday February 24, 2020 , 7:59 pm
Print this E-mail this

কারাগারের অভ্যন্তরে মাদকের কোন অস্থিত্ব নেই বলে দাবি কারা কর্তৃপক্ষের

বরিশাল কারাগারে বসেই মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে মাদক সম্রাট শাকিল খান সেন্টু!


নিজস্ব প্রতিবেদক : কারাগারে বসেই মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে মাদক সম্রাট শাকিল খান সেন্টু। কারাগারে থাকলেই নাকি নিরাপদে চলে তার বাণিজ্য। বরিশাল ও ঝালকাঠীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় অর্ধশত মাদক মামলার আসামি সেন্টু। বর্তমানে সে (সেন্টু) বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে মাদক মামলায় বন্দী রয়েছে। সেখানে বন্দী থেকেই মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। এমনটাই বেরিয়ে এসেছে বিশেষ অনুসন্ধানে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠির মাদক সম্রাট সেন্টুর অনুপস্থিতিতে তার ইয়াবা ও ফেন্সিডিলের বাণিজ্য দেখভাল করছে তার ছোট ভাই শাহআলম ও সেন্টুর স্ত্রী তাহমিনা বেগমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। সূত্র আরও জানায়, বরিশাল শহরের বিভিন্ন এলাকায় সেন্টু ও শাহআলমের একাধিক বাসা ভাড়া নেয়া রয়েছে। একেক বাসায় সেন্টুর স্ত্রী পরিচয়ে একেকজন নারী থাকেন। এর বাইরেও শক্তিশালী নারী-পুরুষের সিন্ডিকেট রয়েছে। যাদের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের সাহায্যে মাদক সরবরাহ করছে শাহআলম, সেন্টুর স্ত্রী তাহমিনা, রিমি আক্তার, সেন্টুর দুলাভাই আবুল হোসেন, ভাগ্নে নিরবসহ তাদের সহযোগিরা। এরা সকলেই একাধিকবার মাদক মামলায় কারাভোগ করে জামিনে বেরিয়ে ফের মাদক বাণিজ্যে জড়িয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী কারাগারের বন্দীদের সাথে দেখা করার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সেন্টুর ক্ষেত্রে সেই নিয়মেও ভিন্নতা রয়েছে। একজন মাদক ব্যবসায়ী হলেও তার জন্য রয়েছে ভিআইপি ব্যবস্থা। যেখানে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন জেলগেটে সেন্টুর সাথে দেখা করেন। মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা নিয়মিত সেন্টুর সাথে দেখা করে পরামর্শ নিয়ে থাকেন। পাশাপাশি বিভিন্ন খবরাখবর দিয়ে থাকেন সেন্টুকে। বরিশাল কারাগারের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই এর প্রমান মিলবে বলে দাবি সূত্রগুলোর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে সেন্টুর মাদক ব্যবসার সহযোগী কয়েকজন জানায়, ‘দেশের বিভিন্ন বর্ডার এলাকা থেকে সেন্টুর নামে ইয়াবা ও ফেন্সিডিলের বড় বড় চালানে আসে। সেন্টুর অবর্তমানে সেই চালন বরিশালে গ্রহন করেন তার ভাই শাহ আলম ও স্ত্রী তাহমিনা। পরে মাদক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাদকের সেই বিষ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে ছড়িয়ে দিচ্ছে শাহ আলম ও তাসলিমা। যার প্রমানও মিলেছে, সম্প্রতি সময়ে র‌্যাব-৮ এর কয়েকটি সফল মাদক বিরোধী অভিযানে। র‌্যাবের অভিযানে মাদকসহ আটককৃতদের অধিকাংশই সেন্টুর নিজ জেলা ঝালকাঠীর বাসিন্দা। সূত্রমতে, অঢেল সম্পদের মালিক হলেও জেল থেকে জামিনে বের হন না সেন্টু। কারণ বাহিরে বের হলে তার নতুন করে মামলায় জড়ানোর ভয় রয়েছে। তাছাড়া জেলে বসেই মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রনের সহজ উপায় বলে মনে করছেন তিনি। তাই পুরনো মামলায় কারাগারে আয়েশী জীবন যাপন করে বাহিরে থাকা সদস্যদের মাধ্যমে মাদক সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রন করছেন দুর্ধর্ষ মাদক সম্রাট শাকিল খান সেন্টু। অভিযোগ রয়েছে শুধু বাইরেই নয়, সেন্টু কৌশলে মাদক প্রবেশ করাচ্ছে কারাগারের অভ্যন্তরেও। যদিও কারাগারের অভ্যন্তরে মাদকের কোন অস্থিত্ব নেই বলে দাবি কারা কর্তৃপক্ষের।

সূত্র : বরিশাল ক্রাইম নিউজ




Archives
Image
বরিশালে ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যা, পিতা-পুত্র গ্রেফতার
Image
গুলিস্তানে কিনে ‘পাকিস্তানি কাপড়’ বলে বিক্রি করেন তনি!
Image
রড দিয়ে পিটিয়ে শিশু গৃহকর্মী খুন, দম্পতির যাবজ্জীবন
Image
এমভি আবদুল্লাহ ছাড়লেন ২৩ নাবিক
Image
ভোলার চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত