টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে কোদাল দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে
বরগুনায় বাবাকে মারধর করায় ছেলেকে পুলিশের কাছে সোপর্দ
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরগুনায় বাবাকে মারধর করায় ছেলেকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার রাতে সদর উপজেলার সোনাখালী গ্রামের সুরেশ্বরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শাহীন (৩৫) সালাম খানের ছেলে। জানা যায়, শাহীন দীর্ঘদিন ধরে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার বাবা সালাম খানকে মারধর করত। স্থানীয় গন্যমান্যরা বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করলেও শাহীন তাদের কথায় কোনো কর্ণপাত করেনি। সোমবার রাতে বাবার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে শাহীন। বাবা সালাম খান টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে কোদাল দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গ্রামবাসি শাহীনকে আটক করে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত শাহীনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। নাসির মোল্লা, ফারুক, সজিব, রাজিবসহ কয়েকজন স্থানীয়রা বলেন, শাহীন অনেকবার তার বাবাকে মারধর করেছে। স্থানীয়রা বহুবার বাঁধা দিলেও শাহীন কারও কথা শোনে না৷ সোমবার রাতে শাহীন তার বাবাকে আবারও মারধর করলে তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিই৷ পুলিশ শাহীনকে থানায় নিয়ে যায়। ভবিষ্যতে কোনো সন্তান যেন কোনো বাবার গায়ে হাত তুলতে সাহত না করে সেজন্য শাহীনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি জানান তারা। এ বিষয় ভুক্তভোগী বাবা সালাম খান বলেন, কয়েক দিন আগে আমার মেয়েকে বিয়ে দিই। ওর (শাহীনের) দাবি ওই বিয়েতে তার ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। শাহিনের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিয়েতে সর্বোচ্চ ৪৫-৫০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। এতে আমিও টাকা দিয়েছি। কিন্তু শাহীন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি টাকা না দেওয়ায় আমাকে কোদালের হাতল দিয়ে পিটিয়ে জখম করে শাহীন। এর আগেও আমাকে একাধিকবার মারধর করেছে আমার ছেলে। এমন ছেলে জন্ম দিয়ে পাপ করেছি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বরগুনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মাইনুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত শাহীনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী৷ পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।