|
যুবলীগে কোন চাঁদাবাজ, ধান্দাবাজ ঠাঁই পাবে না-যুবলীগের চেয়ারম্যান
বঙ্গবন্ধুকন্যার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে-শেখ ফজলে শামস পরশ
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন যুবলীগের দুটি দায়িত্ব। এর মধ্যে একটি হলো বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। দ্বিতীয়টি হলো রাজপথে থেকে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যার অর্জনগুলোকে রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সম্মান এনে দিয়েছেন, সফলতা এনে দিয়েছেন। এই সম্মান আমাদের ধরে রাখতে হবে। যুবলীগের নেতাকর্মীরা মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে পেরেছে কিনা তা আপনারা মূল্যায়ন করবেন। অন্ধকার কাটিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে যুবলীগ। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে যুবলীগ। সোমবার (ডিসেম্বর ২০) দুপুরে পটুয়াখালীর কাজী আবুল কাশেম স্টেডিয়ামে জেলা যুবলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। পরশ বলেন, পটুয়াখালী জেলা থেকে আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক অধ্যায়ের সূচনা রচিত হচ্ছে। যুবলীগের কমিটিতে কোন চাঁদাবাজ, ধান্দাবাজ ঠাঁই পাবে না। নতুন কমিটিতে কোন আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই। সাংগঠনিক পদ কেবলমাত্র সাংগঠনিক কাজেই ব্যবহার করবেন। পদ-পদবি কারও ব্যক্তিগত পকেট ভারী করার জন্য নয়, তাই যারা ব্যক্তিস্বার্থে পদ-পদবি প্রত্যাশা করছেন তারা সতর্ক হয়ে যান। যুবলীগ কখনও এটা মেনে নেবে না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতদের পক্ষে। আমাদের দলে অনেক ত্যাগী নেতা রয়েছেন; যারা বিভিন্ন সময়ে শেষিত, নিপীড়িত হয়েছেন। আমাদের উচিত তাদের সম্মান করা ও প্রকৃত মূল্যায়ন করা। এই সংগঠনে তারা এখনও শোষিত-বঞ্চিত হবেন আর অনুপ্রবেশকারীরা রাজত্ব করবে, তা মানা যায় না। যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, যারা দলের দুঃসময়ে নির্যাতিত হয়েও কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন। ত্যাগী, সাংগঠনিক ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সেসব নেতাকে নির্বাচিত করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। শেখ পরশ বলেন, আমাদের নির্ণয় এবং চিহ্নিত করতে হবে; কীভাবে আমরা দেশেকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আমাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। মনে রাখবেন, এই দিন দিন নয়, সামনে যে দিন আসছে তাতে দক্ষতার বিকল্প নেই। আমাদের যেমন রাজপথের লড়াকু সৈনিক দরকার তেমনি উদ্যোক্তা, সৃজনশীল ও দক্ষ কারিগর দরকার। সকালে জাতীয় সংগীত গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে মুখরতি হয়ে ওঠে কাজী আবুল কাশেম স্টেডিয়াম মাঠ। সম্মেলনে আরো বক্তৃতা দেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহাজাদা, পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মুহিবসহ কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতারা। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান রনির সভাপতিত্বে এবং জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম শহীদের সঞ্চালনায় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।
Post Views:
২২৯
|
|