|
কমিউনিটি পুলিশিংয়ের পরিপূরক কর্মসূচি হিসেবে বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে সারাদেশের মতো বরিশালেও শক্তিশালী করেছি
পুলিশকে দুর্নীতিমুক্ত ও জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই-বিএমপি কমিশনার
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পুলিশকে দুর্নীতিমুক্ত ও জনগণের আস্থার প্রতীকে হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আজ সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় নগরীর বন্দর রোডের পুলিশ অফিসার্স মেসে আয়োজিত বিএমপির ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: শাহাবুদ্দিন খান। পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বরিশালবাসীকে হৃদয় থেকে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাতে চাই। ১৪ বছর সময়টা খুব বেশি নয়, আবার কমও নয়। আমরা শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পদার্পণ করেছি। আমরা সত্যিকার অর্থে জনতার পুলিশ, আমরা মানবিক পুলিশ, আমরা যেটাকে বলি নারীবান্ধব পুলিশিং যেটা, শিশুবান্ধব পুলিশিং এবং জনদরদি পুলিশিংয়ের মধ্যে দিয়ে জনগণের আস্থার প্রতীকে পরিণত হতে চাই। এটিই আমাদের এ বছরের প্রত্যাশা, এটিই আমাদের প্রতিশ্রুতি। যে কোনো অপরাধ ও অপরাধীদের জন্য পুলিশের ভূমিকা কঠোর হবে বলেও জানান কমিশনার। শাহাবুদ্দিন খান বলেন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে যে কমিউনিটি আছে, সমাজ আছে। সেখানে শান্তি শৃঙ্খলা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, আইন মান্যকারী এবং মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক হয়ে ওঠে সেজন্য বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে একটি কর্মসূচি চলমান আছে। মহামারি করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে সেই কর্মসূচি সীমিত আকারে রয়েছে। তিনি বলেন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের সুদূর প্রসারী চিন্তা-ভাবনার মাধ্যমে সর্বোশেষ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের পরিপূরক কর্মসূচি হিসেবে বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে সারাদেশের মতো বরিশালেও শক্তিশালী করেছি। বরিশাল মেট্রোপলিটনে মোট ৯৭টি বিটের কার্যক্রম আমরা চালু করেছি। যার মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে দু’টি ও প্রতি ইউনিয়নে তিনটি করে বিট চালু করা হয়েছে। এরমধ্যে সিংহভাগ বিটের অফিস চালু করা হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেক কেটে এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনটি পালন করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে বিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দফতর) আবু রায়হাম মো: সালেহ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম, অপস অ্যান্ড প্রসিকিউশন) মো: জুলফিকার আলী হায়দার, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো: মোকতার হোসেন (সেবা), উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) খাইরুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো: জাকির হোসেন মজুমদার, উপ-পুলিশ কমিশনার (নগর বিশেষ শাখা) মো: জাহাঙ্গীর মল্লিক, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. মনজুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (সাপ্লাই অ্যান্ড লজিস্টিকস) খান মুহাম্মদ আবু নাসের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Post Views:
২৩৪
|
|