|
কোনো দুস্কৃতিকারী চুরির উদ্দেশ্যে না নাশকতার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হবে
পিরোজপুরের কাউখালীতে তাবলীগ জামাতের ১৫ মুসল্লীকে নেশাজাতীয় খাইয়ে অচেতন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পিরোজপুরের কাউখালীর গারতা আল সেতারা জামে মসজিদের তাবলীগ জামাতের ১৫ মুসল্লীকে খাবারের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়ছে দূর্বত্তরা। অসুস্থ মুসল্লীদের শুক্রবার ভোরে কাউখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২জন মুসল্লীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।স্থানীয়, তাবলীগ জামাত ও হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, গত ৪ নভেম্বর ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে ১৬ সদস্যের তাবলীগ জামাতের একটি দল কাউখালীতে আসে। গতকাল বৃহস্পতিবার তারা গারতা আল-সেতারা জামে মসজিদে অবস্থান করছিলেন। রাতে নামাজ ও যাবতীয় কার্যক্রমে শেষ করে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাতে ফজরের নামাজের সময় হলে কেউ ঘুম থেকে না উঠায় বিষয়টি স্থানীয়দের জানানো হয়। তারা এসে অজ্ঞান অবস্থায় থাকা ১৫ জনকে কাউখালী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার আব্দুল হান্নান (৬০) এবং নোয়াখালী জেলার কাসিমপুর গ্রামের তাবারকউল্লাহ (৬৩) কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।অসুস্থ মুসল্লীরা হলেন নওগা জেলার ভান্ডারপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল ছত্তার (৪০), একই জেলার নাবিলা নোনাহারপুর গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মোস্তাকিম (৫৯) একই জেলার রসুলপুর গ্রামের বসির শেখের ছেলে আব্দুস সামাদ (৭১),নীলফামারি জেলার বড়ইবাড়ি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে মোস্তকিম (১৮), নেত্রকোনা জেলার তেলিগাতি গ্রামের আলী আকবরের ছেলে মিজানুর রহমান (৫০) একই জেলার বড়ইখালি গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে হামিদ উদ্দিন (৫৫)। নওগা জেলার বাকরাইন গ্রামের সাবের উদ্দিনের ছেলে ইদুকুল ইসলাম, একই জেলার সাকড়াইল গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে ইয়াসিন আলী (৫২), সুনামগঞ্জ জেলার মোহনপুর গ্রামের আব্দুল শুক্কুরের ছেলে শফিউল্লা (৬২), একই জেলার কালিপুর গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে জাফর আলী (৬০), কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদরের এনায়েতুল্লার ছেলে সফিউল্লাহ (৭০) একই জেলার রাইটহাট গ্রামের ফেরদৌরে ছেলে আলী আকবর (৫৯), সুনাম গঞ্জ জেলার ধরনিয়া গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে আব্দুল হান্নান (৬০), নোয়াখালী জেলার কাশীমপুর গ্রামের আরশতিমের ছেলে তাবারক উল্লাহ (৬৩), কক্সবাজার জেলার নয়াপাড়া গ্রামের হাসেমউল্লার ছেলে হারুনুর রশিদ। ওই তাবলীগের সদস্য মোজাহার হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর পরই একজন অচেনা লোক এসে আমারা কোন জায়গা থেকে এসেছি, বাড়ি ঘর কোথায় জিজ্ঞাসা করেন এবং আমাদেরকে তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে সে বলে চলে যায়। এর পর তারা রাতে নামাজ ও তাদের সকল কার্যক্রমে শেষ করে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ফজরের নামাজের সময় আগত হলেও কেউ ঘুম থেকে উঠাছেন না। বিষয়টি তিনি স্থানীয়দের জানালে তারা এসে অজ্ঞান অবস্থায় ১৫ জনকে উদ্বার করে কাউখালী হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমাদের এক মুসল্লীর কিছু টাকা ও একটি মোবাইল পাওয়া যাচ্ছে না। বাকিরা সুস্থ না হলে কিছু বলা যাবে না। এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বনি আমিন বলেন, কোনো দুস্কৃতিকারী চুরির উদ্দেশ্যে না নাশকতার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।
Post Views:
৩০৪
|
|