|
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চারজনের পাহারায় গণধর্ষণ চালায় ছয়জন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের একটি বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে স্কুল পড়ুয়া দুই কিশোরীর পিছু নেয় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া রিয়াদসহ তার দশ সহযোগী। এক পর্যায়ে তারা দুই কিশোরীকে আটকে গণধর্ষণ চালায়। এ ঘটনায় রিয়াদসহ ছয়জন সরাসরি অংশ নেয়। আর আশপাশে পাহারায় ছিলেন চারজন। শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, আগেও রিয়াদ এমন আরো ঘটনা ঘটিয়েছে। সেগুলো সালিশি বিচারের মাধ্যমে সমঝোতা হয়েছিলো। গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে এ ঘটনা ঘটে। ২৯ ডিসেম্বর পুলিশ নির্যাতিতদের বাড়িতে গিয়ে থানায় মামলা করতে পরামর্শ দেয়। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় স্থানীয় প্রাক্তন ইউপি সদস্য আবদুল মান্নানের ছেলে সোলায়মান হোসেন রিয়াদকে। এতে আরো আসামি করা হয়-কচুয়াকুড়া গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে শরিফ (২০), আবদুল হামিদের ছেলে এজাহার হোসেন (২০), কাটাবাড়ি গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রমজান আলী (২১), তালেব হোসেনের ছেলে কাউছার (২১) দুলাল মিয়ার ছেলে আছাদুল (১৯), মাহতাব উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২১), আবদুল মতিনের ছেলে মিজান (২২), মফিজুল ইসলামের ছেলে রুকন (২১) ও বকুল মিয়ার ছেলে মামুন (২০)। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করেন আদিবাসীরা। পরে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে মূল আসামি সোলায়মান হোসেন রিয়াদসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৪’র একটি দল ও ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন-শরিফ মিয়া, মিজানুর রহমান, মো. মিয়া হোসেন, মো. রুকন মিয়া ও আবদুল হামিদ। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ৪ জন এবং তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় আব্দুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Post Views:
১৯৯
|
|